বিজ্ঞাপন

লুইভিলে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ, ২ পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ

September 24, 2020 | 2:47 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছয় মাস আগে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে পরিচালিত অভিযানে কৃষ্ণাঙ্গ নারী ব্রেওনা টেইলরের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ না আনায়, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যের লুইভিল। খবর বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে লুইভিল শহরের বিভিন্ন অংশে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এর মধ্যেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধও হয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে লুইভিলের পুলিশপ্রধান রবার্ট শ্রোয়েডার জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ দুই কর্মকর্তার অবস্থাই আশঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে, ব্রেওনা টেইলর হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সদস্যদের অভিযুক্ত করা হবে কি না – এ বিষয়ক সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করেই শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার সেখানে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর (এনজিএফ) সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, লুইভিলের মেয়র গ্রেগ ফিশার রাত ৯টা থেকে পরদিন ভোর সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করলেও, অনেক এলাকায় রাত ৯টার পরও হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় দেখা গেছে।

অন্যদিকে, কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশির পরে বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ জানান।

বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গভর্নর অ্যান্ডি বলেন, সহিংসতার জবাব কখনোই সহিংসতা হতে পারে না। এখন গুলিবিদ্ধ ওই দুই কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কথা ভাবছি। সবার প্রতি অনুরোধ করছি দয়া করে বাড়ি ফিরে যান।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বুধবার ২৬ বছর বয়সী ব্রেওনা টেইলর হত্যাকাণ্ডে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সামান্য অভিযোগ আনার পর লুইভিলের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেন। কোথাও কোথাও তারা পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন – বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

অপরদিকে, ব্রেওনার আত্মীয়স্বজন এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা মার্চে ব্রেওনার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনার দাবি জানিয়েছিলেন।
বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনার পর গ্র্যান্ড জুরি অ্যানি ও কনেল কেবল ব্রেট হ্যানকিনসনের বিরুদ্ধে হালকা অপরাধের অভিযোগ এনেছেন, বাকি দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই আনা হয়নি।

পাশাপাশি, মার্চে ব্রেওনার ফ্ল্যাটে অভিযানে আইনের কোনো লংঘন হয়েছিল কিনা, এফবিআই তা খতিয়ে দেখছে।

গ্র্যান্ড জুরি ও কনলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্রেওনার পরিবারের আইনজীবী। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ না আনাকে ‘আপত্তিকর ও অপমানজনক’ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

‘সন্তান, ভাতিজি, বোন ও বন্ধু হারানোর শোক আর বেদনাকে দূরে সরিয়ে দিতে তাদেরকে আজ কিছুই দিতে পারছি না আমি’ – ব্রেওনার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল ড্যানিয়েল ক্যামেরন।

গ্র্যান্ড জুরির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কেনটাকির রিপাবলিকান অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রশংসাও করেছেন।

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন