বিজ্ঞাপন

নিবন্ধন ছাড়া হাসপাতাল-ক্লিনিক চলতে দেওয়া হবে না: তাপস

September 24, 2020 | 5:03 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিবন্ধন ছাড়া বেসরকারি কোনো হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক আমাদের নিবন্ধন নেয়নি। আমরা তাদের চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ প্রত্যেকটি বিষয় উল্লেখ করে নিবন্ধনের আওতায় এনে তা বাস্তবায়নে বাধ্য করব।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দেশের সকল সিটি করপোরেশন এলাকাসহ নগরবাসীর জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সারাদেশে চিকিৎসা বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এবং এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন/পৌরসভাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজিয়েছি। দিনের বেলা উন্মুক্ত স্থানে কোথাও বর্জ্য রাখার সুযোগ রাখিনি। সন্ধ্যার পর থেকে আমরা বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করেছি। ঢাকাবাসী এর সুফল পাচ্ছে। এই করোনা মহামারির মধ্যে মুখোশ ও হাতমোজা চিকিৎসা সামগ্রী হলেও এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা এখন সাধারণ বর্জ্যে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের মূল অনুমোদন দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে সেটা দেওয়া হয়ে থাকে। আজকের কার্যপত্রেই আছে, মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক, ল্যাবরেটরি অর্ডিন্যান্স ১৯৮২-এ আছে আবেদনের সঙ্গে আবশ্যিক ডকুমেন্টের তালিকায় হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন তথ্যের কথা বলা হয়েছে। আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি, এখানে অবকাঠামো বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। জনবলের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, কিন্তু সেই হাসপাতাল-ক্লিনিকের বর্জ্যগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবে, তাদের অবকাঠানো কী থাকবে, কী নিশ্চিত করতে হবে- এ বিষয়ে এখানে কিছু বলা হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

মেয়র তাপস বলেন, ‘‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ১১২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইন কার্যকর হইবার তারিখে বা তৎপর করপোরেশন এলাকায় করপোরেশনের নিবন্ধন ব্যতীত কোন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট, ইত্যাদি পরিচালনা করা যাইবে না।’ সেক্ষেত্রে আমরা এই আইনটি বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা এরই মধ্যে একটা বিধিমালা-প্রবিধান করব। সুনির্দিষ্টভাবে চিকিৎসা বর্জ্য কীভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে, কী কী অবকাঠামো তাতে থাকতে হবে; ১০, ১০০ কিংবা ৫০০ শয্যা হোক, কী কী তাদের মানতে হবে- এই বিষয়গুলো তুলে ধরে আমরা তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে চাই।’

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৮ সালে চিকিৎসা বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি বিধিমালা হয়েছে জানিয়ে ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আজ পর্যন্ত সে বিধিমালার বাস্তব কোনো পরিপালন আমরা লক্ষ্য করিনি। আমাদের আইন, বিধিমালা, প্রবিধান কম নেই, সবই আছে। অন্যান্য উন্নত দেশে যা আছে আমাদেরও তাই আছে। কিন্তু একটি বড় ফারাক আমরা লক্ষ্য করি, তা হলো পরিপালন।’

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা এখন বলতে পারি যে, মশকমুক্ত একটি নগরী আমরা উপহার দিতে পারছি। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ থেকে আমরা ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। করোনা মহামারির মধ্যে এটা আমাদের জন্য একটি বড় বিষয় ছিল। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জলাশয় ও খালগুলো নিয়ে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আগামীতে ঢাকা নগরীকে জলাবদ্ধমুক্ত রাখতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন