September 27, 2020 | 10:06 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
ছিল সুশান্ত হত্যা মামলা। হয়ে গেল মাদক মামলা। প্রথমে ছিলেন শুধু রিয়া চক্রবর্তী। এরপর একে একে আসলো বলিউডে রথী-মহারথীদের নাম। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) তলফ করেছে দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলী খান ও শ্রদ্ধা কাপুরদের।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এনসিবি জেরা করে দীপিকা পাড়ুকোনকে। আর সে জেরা সময় নাকি বলিউডের বর্তমানের এক নম্বর নায়িকা তিন বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এর জন্য এনসিবির কর্মকর্তাদের কাছে নাকি ধমকও খেয়েছেন। খবর আনন্দবাজার।
এনসিবি কর্মকর্তারা দীপিকা পাড়ুকোনকে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। অন্যদিকে সারা ও শ্রদ্ধা প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়।
দীপিকার স্বামী রনবীর সিং ‘প্যানিক অ্যাটাক’র সমস্যার কথা বলে এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে স্ত্রীর পাশে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার দীপিকাকে একাই ঢুকতে দেখা গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দীপিকাকে তার ম্যানেজার কারিশমার মুখোমুখি করা হয়। পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল তাকে মাদক নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে তার মাদক চাওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই কান্না করে দেন। তখন উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাকে ‘ইমোশনাল কার্ড’ না খেলার কথা বলেন।
জানা গেছে, দীপিকা তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করে নেন ফাঁস হওয়া চ্যাট তার নিজের। তবে সেখানে ‘মাল হ্যায় ক্যা’র মাধ্যমে তিনি মাদক সংক্রান্ত কোন কিছুই জানতে চাননি। এমনকি তিনি নিজেকে স্বাস্থ্য সচেতন দাবি করে ‘কখনই মাদক নিই না’ বলেন।
তবে দীপিকা নাকি কিছু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন, যা এনসিবি কর্তাদের মনে হয়ে ইচ্ছাকৃত এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর শুনে তাদের মনে তাকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা দীপিকার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। একই সঙ্গে সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুরের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
সারাবাংলা/এজেডএস