বিজ্ঞাপন

দাবি আদায়ে আন্দোলনে ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা

September 30, 2020 | 6:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাত দফা দাবি নিয়ে নতুন করে আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। জাতীয়করণসহ এসব দাবি আদায় করতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে লাগাতার আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছেন সমিতির সদস্যরা

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের শর্ত পূরণসাপেক্ষে নতুন মাদরাসার রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। এটি ১৯৭৮ সালের অর্ডিন্যান্স ১৭ (১) ধারায় উল্লেখ করা আছে। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বাড়িয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ৩ হাজার ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন আড়াই হাজার টাকা করা হয়েছে। অথচ একই সময়ে রেজিস্ট্রেশন করা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে সব শিক্ষককে সরকারি করে নিয়েছে সরকার। এই বৈষম্য আমরা মানি না।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাতেও একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষার মতো ইবতেদায়ি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরাও সরকারের সব কাজে অংশগ্রহণ করেন। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান, যা ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের বেতনের তুলনায় বহুগুণ বেশি।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা হাফিজ কাজী ফয়েজুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষক সমিতি অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন চলাকালীন সরকার শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদরাসারয় প্রধান শিক্ষকরা সর্বসাকুল্যে ২৫০০ টাকা আর সহকারী শিক্ষকর ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকিরা শিক্ষকরা ৩৪ বছর ধরে কোনো বেতন-ভাতাই পান না। এটি চূড়ান্ত রকমের বৈষম্য। বাংলাদেশের মতো দেশ, যে দেশ বঙ্গবন্ধুকন্য শাসন করছেন, সে দেশে এমন বৈষম্য করা উচিত নয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন