November 26, 2017 | 7:43 am
সারাবাংলা ডেস্ক
পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদকে পুনরায় গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ সাঈদ মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সাঈদ এ বছরের জানুয়ারি থেকে গৃহবন্দী ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেশটির একটি আদালত তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাঈদের লস্কর-ই-তাইয়েবা সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকসহ শতাধিক মানুষ হত্যার জন্য দায়ী।
যদিও সাইদ ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বারবার অস্বীকার করেছেন।
এখন পাকিস্তান যদি সাইদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়, সামনের দিনে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, এটা পাকিস্তানের সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে হাফিজ সাঈদকে বরাবরই অভিযুক্ত করে আসছে ভারত।
যুক্তরাষ্ট্রও মনে করে যে সে হামলার পেছনে হাফিজ সাঈদের হাত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে হাফিজ সাঈদকে ধরার জন্য ১০মিলিয়ন ডলার পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। যা এখনো বহাল আছে বলে উল্লেখ করেছেন হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র।
এদিকে, মুক্তি পাবার পর লাহোরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে সাঈদ ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
জানুয়ারিতে যখন তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল তখন ধারণা করা হয়, আমেরিকার চাপে পাকিস্তান সরকার হাফিজ সাঈদকে গৃহবন্দি করেছে।
১৯৯০ সালে মি. সাঈদ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়েবা প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে সংগঠনটি নিষিদ্ধ হলে, ২০০২ সালে তিনি জামাত-উত-দাওয়া নামে একটি পুরনো সংগঠন নতুন করে চালু করেন।
জামাত-উত-দাওয়া পাকিস্তান-ভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা।
অ্যামেরিকা মনে করে এ দাতব্য সংস্থাটি লস্কর-ই-তৈয়েবার একটি অংশ।
অ্যামেরিকা তরফ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে লস্কর-ই-তৈয়েবার নাম রয়েছে।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেল, একটি ইহুদি কেন্দ্র এবং ট্রেন স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল বন্দুকধারীরা। সেই হামলায় ১৬৬ জন মানুষ মারা গিয়েছিল।