বিজ্ঞাপন

এমন শুরুর পরও পাহাড় টপকাল অগ্রণী ব্যাংক

March 12, 2018 | 6:00 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্যটা ২৯০ রানের। অসম্ভব না হোক, কঠিন তো বটেই। সেই রান তাড়া করে অগ্রণী ব্যাংকের শুরুটাও হলো দুঃস্বপ্নের মতো, ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন শাহরিয়ার নাফীস। স্কোরকার্ড বলছে ৩ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখে জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক, তবে আসলে একটা সময় পর তাদের জয় নিয়ে খুব একটা সংশয় ছিলই না।

অথচ ফতুল্লায় শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ব্রাদার্সের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনাইদ সিদ্দিকী মিলে গড়েছিলেন ২০০ রানের উদ্বোধনী জুটি। আগে সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেছেন মিজানুরই, ১১৮ বলে লিস্ট ‘এ’তে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাজশাহীর এই ওপেনার। তবে তার পরেই ১০২ রান করে আউট হয়ে গেলেন শফিউলের বলে। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন জুনায়েদও, কিন্তু মিজানুরের আউটই বোধ হয় তার আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত ১০৩ বলে ৯২ রান করে আউট হলেন সেই শফিউরের বলেই।

ব্রাদার্সের রান তখন ৩০০ হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু দুই ওপেনারের এনে দেওয়া ভিতে সেভাবে কেউ ঝড় তুলতে পারেনি। শুধু মাইশুকুর রহমানই যা একটু চেষ্টা করেছেন, ২৩ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শেষ ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েছে ব্রাদার্স, তুলেছে মাত্র ৭৪ রান।

বিজ্ঞাপন

এই রান তাড়া করে শুরুতেই নাফীসকে হারিয়ে ফেলে অগ্রণী ব্যাংক। আজমির আহমেদ ও সালমান হোসেনের ৮৮ রানের জুটি এরপর আবার পথ দেখিয়েছে। ধীমান ঘোষ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেননি, একটা সময় ১৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অগ্রণী, জয়ের জন্য ২৩ ওভারে তাদের দরকার তখনো ১৫২ রান।

সেখান থেকে ভারতীয় অলরাউন্ডার রিশি ধাওয়ান ও সালমান হোসেন পথে রাখলেন। সালমান ৬৩ রান করে আউট হলেও রিশি এরপর জাহিদ জাভেদকে নিয়ে ট্রেনটা লাইনচ্যুত হতে দেননি। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ১০৭ রানের জুটিটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে জয়। ৫৯ বলে ৭০ রান করে আউট হয়েছেন ধাওয়ান, ৪৯ বলে ৫৫ রান করে আউট হয়ে গেছেন জাভেদও। আবদুর রাজ্জাকও ফিরে গেছেন একটু পর। তবে শেষ দুই ওভারে সমীকরণটা হয়ে গেছে মাত্র ৬ রানের, অগ্রণীর জয়ও তখন নিশ্চিতই হয়ে গেছে।

৯ ম্যাচে এটি অগ্রণীর তৃতীয় জয়, এখনো আছে অবনমনের শঙ্কায়। সমান ম্যাচে এটি ব্রাদার্সের পঞ্চম পরাজয়, তাদের পয়েন্ট ৮।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন