বিজ্ঞাপন

বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পিবিআই

October 10, 2020 | 4:45 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: জেলার বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মামলার তিন আসামি নুর হোসেন বাদল, আবুল কালাম ও মাইন উদ্দিন সাজুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তারা।

বিজ্ঞাপন

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সেপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাড়িতে যান। এ সময় পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাথে ছিলেন।

পিবিআই কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে ২০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন। এসময় তারা নির্যাতনে শিকার ওই নারীর বসতঘরে ও আশপাশ ঘুরে ঘুরে দেখেন। তবে এসময় তারা কারো সাথে কথা বলেননি।

এর আগে, শুক্রবার পিবিআই নোয়াখালীর ইন্সেপেক্টর সুভাষ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি দল একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে নিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শনে যান। এ সময় মামলার তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রামের তদন্ত বিশেষজ্ঞ ফারুক আহমেদ এবং মামলা দু’টির সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাড়িটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ভুক্তভোগীর দায়ের করা দু’টি মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পিবিআই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন ইন্সপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে। এছাড়া পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা করা হয় ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানকে।

উল্লেখ্য, ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও ৩২দিন পর গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১১ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আরও যুক্ত করা হয়েছে ৫ জনকে।

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন