বিজ্ঞাপন

‘মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে দেখতে চাই’

October 11, 2020 | 4:19 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমরা মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই। দেশের অর্থনীতিকে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করার খাত হবে মৎস্য খাত। এজন্য পরিকল্পনা নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রবিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০১৯-২০) পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন (২০২০-২১) শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, গবেষণার ফলাফল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিলে তারা এ খাতে কাজ করতে আরো উৎসাহিত হবে। দেশের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে মৎস্য খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। করোনাকালে পোশাক শিল্প, প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মৎস্য খাতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যাতে এই বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় শরীরের পুষ্টি বাড়াতে হলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হলে মৎস্য চাষ সমৃদ্ধ করা, সম্প্রসারিত করা এবং গবেষণা বিস্তৃত করার কোন বিকল্প নাই। করোনাকালে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটা নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে পারে মৎস্য খাত। দেশের বাইরে থেকে আসা এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা বেকারদের কর্মসংস্থান করতে পারে এ খাত। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় খাত হতে পারে মৎস্য খাত। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত হতে পারে মৎস্য খাত। এটা আমাদের সবাইকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নদী-নালা, খাল-বিল, সমুদ্র বিধৌত এই বদ্বীপের গ্রামগঞ্জে সৃষ্ট মৎস্য সংকট উত্তরণের জায়গায় নিয়ে এসেছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মাছের আকার ও স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। সফলতাকে আরো বাড়াতে হবে। মাছের অভায়শ্রম বাড়াতে হবে। অভায়শ্রম থেকে মা ও পোনা মাছ ধরা বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সচেতনতাকে গবেষণার অংশ হিসেবে নিয়ে আসতে হবে।

বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফসহ আরও অনেকে।

কর্মশালায় ইনস্টিটিউট হতে পরিচালিত ৪৮টি গবেষণা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মৎস্য সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষিদের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের চাহিদার আলোকে ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ অর্থবছরের গবেষণা কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিসি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন