বিজ্ঞাপন

নাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩০১ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে ল্যান্ডফিল

October 12, 2020 | 10:03 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ, পরিবেশ বান্ধব কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ, অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণ, সম্পদ পুনরুদ্ধার, দূষণ কমিয়ে পরিবেশের উন্নয়ন ও নগরীরর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত তৈরি করা হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) যেকোনো সভায় এটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। একনেকে অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক)।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ৬৯ দশমিক ৮৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, বাউন্ডারি ওয়াল, সড়ক ও মহাসড়ক, মোটর সাইকেল ক্রয়, পাঁচটি গার্বেজ ট্রাক, একটি স্ক্যাভেটর, একটি ওয়েব্রিজ এবং ২০০টি প্রকৌশল ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের একটি পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বন্দর নগরী। শীতলক্ষ্যা নদী এই নগরীকে দুভাগে বিভক্ত করেছে। নদীটি নগরীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করেছে। শিল্পঘন এই নগরী এক সময় পাট ও পাটজাত পণ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। ঔপনিবেশিক শাসন আমলে শীতলক্ষ্যা নদীর উভয়পাড়ে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নাসিকের জন্য একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা।

নারায়ণগঞ্জ শহর মূলত একটি শিল্পপ্রধান এলাকা। এই শহরে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে শিল্প বর্জ্য যেমন পলিথিন, কাপড় এবং কাগজপত্র তৈরি হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৩৫০ টন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন প্রায় ২৯০ টন কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। প্রতিদিন বর্জ্য সংগ্রহের হার প্রায় ৮৩ শতাংশ। এছাড়া অবশিষ্ট বর্জ্য স্থানীয় নদীর পাড়ে বা খালের ওপর ডাম্প করা হয়, যা পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যর জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হয়। প্রস্তাবিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ নাসিকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গীস সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ ও পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ, অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দূষণ কমানোসহ নগরীর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন