বিজ্ঞাপন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় গ্লোবের ৩ করোনা ভ্যাকসিন

October 17, 2020 | 5:56 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘ব্যানকোভিড’কে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটির তালিকায় এখর রয়েছে গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. কাকন নাগ।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের টিকা প্রাণীর দেহে সফলভাবে পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। অর্থাৎ আমরা এরই মধ্যে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছি। আমরা শিগগিরই হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করব। সেজন্য আমরা আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তিও সই করেছি। বিএমআরসি (মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল) ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এটা নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই আশা করছি আমরা মানবদেহে ট্রায়াল শুরু করতে পারব।’

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

গ্লোব বায়োটেকের সিইও আরও বলেন, ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কার করা তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তিনটি হলো— D614G Variant mRNA vaccine (ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্ট এমআরএনএ ভ্যাকসিন), DNA plasmid vaccine (ডিএনএ প্লাজমিড ভ্যাকসিন) ও Adenovirus Type-5 Vector Vaccine (অ্যাডেনোভাইরাস টাইপ-৫ ভেকটর ভ্যাকসিন)।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্লোব বায়োটেকের একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, সম্প্রতি গ্লোব বায়োটেকের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করা হয় অনলাইন প্রি-প্রিন্ট সার্ভার বায়োআর্কাইভে (biorxiv)। গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগ করা হয়। এর মধ্যে আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এরপরই মূলত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে এই তিনটি ভ্যাকসিন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ১ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্লোব বায়োটেক প্রথম জানায়, তারা দেশেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে জন্য কাজ করছে। ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরই তারা এর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজ শুরু করে।

পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব ঘোষণা দেয়, প্রাণীদেহের ওপর এই ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের ট্রায়াল তারা সফলভাবে শেষ করেছে। পরবর্তী ধাপগুলো ঠিকঠাকমতো সম্পন্ন করতে পারলে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে তারা টিকা বাজারজাত করতে পারবে।

এর মধ্যে গত ৫ অক্টোবর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেকের সিইও ড. কাকন নাগ জানান, নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ‘ব্যানকোভিড’ টিকাটি ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ও একমাত্র আবিষ্কৃত টিকা। অ্যানিমেল মডেলে ইঁদুরের ওপর নিয়ন্ত্রিত ও পূর্ণাঙ্গ প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনায় তারা এই ভ্যাকসিনকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণ পেয়েছেন। অনলাইন প্রি-প্রিন্ট সার্ভার বায়ো-আর্কাইভে (biorxiv) এর ফল প্রকাশ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন