October 19, 2020 | 12:47 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: তিন ও চার নম্বর খুঁটির ওপর ৩৩তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পুরো পাঁচ কিলোমিটারে পৌঁছে গেল পদ্মাসেতু।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে মাওয়া প্রান্তে তিন ও চার নম্বর খুঁটির কাছে স্প্যানটি নিয়ে যাওয়া হয়।
এর মধ্য দিয়ে, মোট ৪১ স্প্যানের মধ্যে ৩৩টি বসানো সম্পন্ন হলো। বাকি রইলো আটটি।
এ ব্যাপারে সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৫ অক্টোবর ৩৪ তম স্প্যান, ৩০ অক্টোবর ৩৫ তম, ৪ নভেম্বর ৩৬ তম, ১১ নভেম্বর ৩৭ তম, ১৬ নভেম্বর ৩৮ তম, ২৩ নভেম্বর ৩৯ তম, ২ ডিসেম্বর ৪০ তম স্প্যান উঠানো হবে। এরপর পদ্মাসেতুর সবশেষ স্প্যানটি বসবে ১০ ডিসেম্বর।
সেতু সচিব মো. বেলায়েত হোসেন সারবাংলাকে জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি স্প্যান বসিয়ে দেওয়া হবে। এখন প্রতি সপ্তাহে পদ্মা সেতুতে স্প্যান যোগ হতে থাকবে। নদীর স্রোত স্বাভাবিক থাকায় কাজে গতি এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, পদ্মাসেতুর বাকি আট স্প্যানের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪১টি স্প্যান একসঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুতে দৃশ্যমান হবে। তবে, স্প্যানের ওপর সড়কপথ নির্মাণে এখনও তেমন অগ্রগতি নেই। এ পর্যন্ত মাত্র ১৫টি স্প্যানের ওপর সড়কপথ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মুখে কাজের গতি শ্লথ হয়ে আসে। যে কারণে, স্প্যানের ওপর নির্ধারিত গতিতে রোডস্লাব বসানো সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে হলে, দিনে অন্তত আট থেকে ১০টি করে রোড স্লাব বসাতে হবে। কিন্তু, এখন দিনে সর্বোচ্চ ৩টি করে রোড স্লাব বসানো সম্ভব হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪১ স্প্যানের ওপর দুই হাজার ৯১৭টি রোডস্লাব লাগবে। এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার রোডস্লাব।
অন্যদিকে স্প্যানের ভেতরে রেললাইনের জন্য লাগবে দুই হাজার ৯৫৯টি রেলস্লাব। এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার ৬০০ রেলস্লাব।
এ বিষয়ে পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, ২০২১ সালের শুরুতে পুরো পদ্মাসেতু দৃশ্যমান হবে। তখন সব স্প্যান বসানো শেষ হবে। তারপর ওপরের সড়কপথ ও নিচের রেলপথের স্লাব বসিয়ে এগুতো থাকবেন তারা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় নির্মাণ অবকাঠামো এবং সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু পদ্মাসেতু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
সারাবাংলা/এসএ/একেএম