October 20, 2020 | 10:21 am
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: নিয়োগপত্র ও বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের চতুর্থ দফায় ধর্মঘট চলছে। একই দাবিতে গত দেড় বছরে আরও তিন বার ধর্মঘটে গিয়েছিলেন তারা। এতে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সারাদেশে বন্ধ হয়ে গেছে পণবাহী নৌযান চলাচল।
বন্দর সূত্র জানায়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বহিঃনৌঙ্গরের ১৬টি ঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে বহিঃনোঙ্গরে ৫০টির বেশি জাহাজ অপেক্ষা করছে। সেখানে ৩০০ লাইটারেজ জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষা করছে।
শ্রমিক-মালিক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি সমাধানে বিকেলে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তারা।
শ্রমিকদের দাবি, ২০১৬ সালের গেজেট অনুযায়ি বেতন খাদ্যভাতা দিতে হবে তাদের। এ নিয়ে গতকাল ঢাকার মতিঝিলে বৈঠকে বসেছিল শ্রমিক ও মালিক নেতরা। তবে খাদ্য ভাতা বা খোরাকি ভাতা নিয়ে সমঝোতা হয়নি। এ প্রেক্ষিতেই চতুথ দফায় ধর্মঘট ডাক দেয় তারা। খাদ্যভাতা না পাওয়া পযন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার জানান, গত রাত রাত ১২টার পর পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নৌযান মালিকরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। তাই বাধ্য হয়ে আবারও ধর্মঘটে গেছেন।
নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নিয়োগপত্র দেওয়া, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, খাদ্যভাতা দেওয়া, প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, ভারতগামী নৌযানের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়া, নৌপথে নাব্যতা রক্ষা এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও পুলিশি নির্যাতন বন্ধ ইত্যাদি।
সারাবাংলা/এসএ/এমও