বিজ্ঞাপন

আইসিসি সভাপতির পদে লড়বেন না কলিন গ্রেভস

October 20, 2020 | 12:33 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

গত জুলাইয়ের ১ তারিখ টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে আইসিসি’র চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান শশাঙ্ক মনোহর। তার সরে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয় নানান জল্পনা-কল্পনা। কে বসবেন আইসিসি’র সর্বোচ্চ পদে? তবে তার সরে যাওয়ার প্রায় চার মাস পরেও খালি রয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার প্রধানের পদ। যদিও নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করছেন ডেপুটি ইমরান খাওয়াজা।

বিজ্ঞাপন

তবে এতদিন ধরে চেয়ারম্যান নির্বাচনের পথই নিশ্চিত করতে পারছিল না আইসিসি। আর তাই তো নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনেও বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে আইসিসি’র পক্ষ থেকে সংবাদ এল তারা নির্ধারণ করে ফেলেছেন কীভাবে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। আর তা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ডিসেম্বরেই।

আর এবার আইসিসি’র সভাপতি হওয়ার দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই ছিলেন ৭২ বছর বয়সী ইসিবি’র সাবেক এই সভাপতি কলিন গ্রেভস। চলতি বছরের জুলাইয়ে শশাঙ্ক মনোহরের পদত্যাগের পর আইসিসি’র সভাপতির চেয়ারে বসার জন্য দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন। ছিলেন বেশ শক্ত অবস্থানেও। তার একমাত্র প্রতিপক্ষ ছিল বোর্ড অফ ক্রিকেট ফর কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।

তবে সভাপতির দৌড়ে থাকতে পর্যাপ্ত সমর্থন পাননি কলিন গ্রেভস, আর তাই তো নির্বাচনের দুই মাস আগে নিজে থেকেই সরে দাঁড়ালেন ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাবেক এই সভাপতি। সভাপতি নির্বাচনের পথে এগিয়ে থাকলেও চাইছিলেন না নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হোক। তিনি চাইছিলেন বাছাইয়ের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ পদে বসতে।

বিজ্ঞাপন

তবে গত ১২ অক্টোবর এক বিবৃতির মাধ্যমে আইসিসি জানিয়ে দেয় আগামী ডিসেম্বরের ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচিত করা হবে আইসিসি’র সভাপতি। এরপরেই এমন ঘোষণা দিলেন কলিন গ্রেভস।

এদিকে ভারতীয় শীর্ষ দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ান জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট এর ডিরেক্টর জনাথন বার্কলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সমর্থন পাচ্ছেন। আর তিনিই আইসিসি সভাপতির পদের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন। কেবল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই নয় সেই সঙ্গে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াও তাকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু আইসিসি সভাপতি পদে জয় লাভ করতে ১৬টি ভোটের মধ্যে ১১টি পেতে হবে জনাথন বার্কলেকে।

এর আগে শশাঙ্ক মনোহর প্রথম মেয়াদে আইসিসি’র চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেছিলেন ২০১৬ সালের মে মাসে। আইসিসি’র ইতিহাসে তিনিই প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্র্রথম মেয়াদ দুই বছরের জন্য দায়িত্ব নিলেও ১০ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। পরে বোর্ডের অনুরোধে সাময়িকভাবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে রাজি হন। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই বছরের জন্য আইসিসি’র স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মনোহর। এরপর নিয়মানুযায়ী দুই বছর দায়িত্ব পালন করে অবশেষে সরে দাঁড়ান তিনি।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন