বিজ্ঞাপন

‘সম্রাটকে বাঁচতে দিন, বেঁচে থাকলে বিচার হবে’

October 20, 2020 | 3:31 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্রাট জেলে আছেন। কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিডিয়ার চাপের কারণে অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে হাসপাতালের পরিবর্তে জেলে থাকতে হচ্ছে। তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে। তাকে জবাই করা হয়েছে। তাকে বাঁচতে দিন, বেঁচে থাকলে বিচার হবে’— অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় জামিন শুনানিতে এভাবেই বলছিলেন সম্রাটের আইনজীবীরা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ পরে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিন সম্রাট বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। মাদক মামলায় সম্রাটের পাশাপাশি তার সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানও আসামি। দুই মামলায় চার্জশুনানির তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে আসামি সম্রাটকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে পৌঁছলে তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হবে বলে সকাল থেকেই তার নেতাকর্মীরা আদালতপাড়ায় ভিড় জমান। আদালতপাড়া কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে।

বিজ্ঞাপন

বেলা সোয়া ১১টার দিকে সম্রাটকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসে নেওয়া হয়। ১১ টা ৪০ মিনিটে সম্রাটের দুই মামলায় শুনানি শুরু হয়। শুনানি শুরুর আগে সাধারণ আইনজীবীদের বের করে দেন বিচারক। এ নিয়ে বিচারকদের সঙ্গে সম্রাটের আইনজীবীদের বাকবিতণ্ডা হয়। আইনজীবীরা বলেন, অনেক সিনিয়র আইনজীবীদের স্বাক্ষর ওকালতনামায় থাকে না। তারা এসে শুনানি করেন। পরে আস্তে আস্তে পরিবেশ শান্ত হয়।

সম্রাটের পক্ষে আইনজীবী গাজী জিল্লুর রহমান, আফরোজা শাহানাজ পারভীন (হীরা), মাহবুবুল আলম দুলাল শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, সম্রাট একজন জনপ্রিয় নেতা। তাকে ভিকটিমাইজড করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা তাকে ভালোবাসে। এজন্যই শত শত নেতাকর্মী আজ আদালতে ছুটে এসেছে তাকে দেখতে, তার মুক্তির দাবি নিয়ে। ১৯৯৯ সালে সম্রাটের বাল্ব রিপ্লেস করা হয়। নিয়মিত চেকআপের জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হয়। দেশে এ চিকিৎসার প্রোপার ট্রিটমেন্ট নাই। জামিন পেলে তিনি ট্রিটমেন্ট নিতে যাবেন।

আইনজীবী আরও বলেন, সম্রাট অসুস্থ। আমরা তার জামিন চাই। তাকে বাঁচতে দিন। বেঁচে থাকলে বিচার হবে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন