বিজ্ঞাপন

লিবিয়ায় ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতি

October 24, 2020 | 3:07 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পাঁচ দিনের আলোচনার পর লিবিয়ার বিবাদমান আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার এবং তাদের বিরোধীপক্ষ স্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। খবর বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ত্রিপোলির সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং তাদের বিরোধী পক্ষের সামরিক নেতাদের মধ্যে হওয়া এ চুক্তিতে জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করেছে।

এ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফানি উইলিয়ামস লিবিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাঁক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এর আগে, ২০১১ সালে ন্যাটো সমর্থিত বাহিনী দেশটির শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যূত করার পর থেকেই সেখানে সহিংসতা মারাত্মক আকার নিয়েছে। লিবিয়ার অসংখ্য বাসিন্দাকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতেও বাধ্য হতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে স্টেফানি উইলিয়ামস বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে লিবিয়ার ভেতরে-বাইরে শরণার্থী হয়ে থাকা অসংখ্য মানুষ তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন।

অন্যদিকে, চুক্তি অনুযায়ী সব দল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তাদের সৈন্য ও সামরিক ইউনিটগুলোকে ক্যাম্পে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে – বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের লিবিয়া বিষয়ক এ বিশেষ দূত।

সবপক্ষ লিবিয়ার ভূমিতে, আকাশে কিংবা জলে থাকা সব ভাড়াটে সৈন্য ও বিদেশী সেনাদের সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতায় আগামী মাসে তিউনিসিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ত্রিপোলির ন্যাশনাল অ্যাকর্ড সরকার (জিএনএ) ও খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মধ্যে আলোচনা রাজনৈতিক আলোচনা শুরুরও কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, জিএনএ-র নিয়ন্ত্রণে আছে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও এর আশপাশের এলাকা। খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী বেনগাজি থেকে দেশটির পূর্বাঞ্চল চালায়। ত্রিপোলি সরকারের পক্ষে রয়েছে তুরস্ক, কাতার ও ইতালি। হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর।

এছাড়াও, আফ্রিকার মধ্যে লিবিয়াতেই সবচেয়ে বেশি তেল ও গ্যাস মজুদ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হাফতারের অনুগত একটি সশস্ত্র দল দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি তেল ক্ষেত্র ঘেরাও করে রেখেছে। টার্মিনালগুলোতে গুদামজাত তেল বিক্রি করতে আগস্টে ওই ঘেরাও আংশিক তুলে নেওয়া হলেও নতুন করে তেল উৎপাদন করতে দেওয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন