বিজ্ঞাপন

মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়ারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: কৃষিমন্ত্রী

October 25, 2020 | 8:32 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়ারা মিলে একযোগে অতি মুনাফা করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তবে সরকারও এদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে খুব সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে আছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। গত বোরো মৌসুমেও ধানের অত্যন্ত ভালো উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কয়েক দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে আমন ধান উৎপাদন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আশানুরূপ উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এসব কারণে আমরা লক্ষ্য করছি, যারা মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়া— সবাই মিলে অতি মুনাফা করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকার এদের বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

রোববার (২৫ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আহম্মদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বক্তৃতায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ‘বন্যাপ্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে’র আওতায় এই আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই কৃষিবান্ধব ও কৃষকদরদী। তার নেতৃত্বে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ, সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান এবং ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও চাষের ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এই দুর্যোগেও এখন পর্যন্ত দেশে খাদ্যের কোনো সংকট হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতেও যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনোক্রমেই যেন মানুষের খাদ্য সংকট না হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের কোনো মানুষকে যেন না খেয়ে কষ্ট করতে না হয়— সেটার নিশ্চয়তা দেওয়া। প্রয়োজন হলে অল্প পরিমাণ চাল বিদেশ থেকে আমদানিও করা হবে।

অনুষ্ঠানে মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা, পৌরসভার মেয়র মো. মাসুদ পারভেজসহ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/জিএস/জেআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন