বিজ্ঞাপন

বার্তোমেউ জানালেন কেন মেসিকে ছাড়েননি

October 27, 2020 | 6:42 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

গোটা ফুটবল বিশ্বে আলোড়ন তুলে লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সরাসরি ক্লাবকে ব্যুরো ফ্যাক্স পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন বিষয়টি, দশদিনের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে বার্সাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন লিওনেল মেসি। তবে এতে মেসির ইচ্ছার থেকে বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর তাকে যেতে না দেওয়ার ইচ্ছাটাই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। এই ঘটনার এতদিন পরে এসে মেসিকে যেতে না দেওয়ার কারণ খোলাসা করলেন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। কয়েক দিনের মধ্যেই লিওনেল মেসি বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবেন এবং ক্যাম্প ন্যুতে থেকেই অবসরে যাবেন বলে আশা ক্লাব প্রেসিডেন্টের।

বিজ্ঞাপন

২০২০-২১ মৌসুমের বার্সেলোনার বাজেট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বার্তোমেউ। আর সেখানেই বার্সেলোনার বাজেটের অনুষ্ঠানকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার বিষয়টি। আর সেখানেই বার্তোমেউ জানালেন, সবকিছু জেনে বুঝেই দলের সেরা খেলোয়াড়কে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ক্লাব।

‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে মেসিকে যেতে না দেওয়ায় সে রাগ করেছে। কিন্তু আমাদের সব পরিকল্পনায় মেসিকে ঘিরে আর তাই তো তাকে যেতে দেইনি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস খুব দ্রুতই মেসি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবেন, আমরা জানি যে সেও ক্লাবে থেকে যেতে চায়।’

বার্সেলোনার ওপর রাগ করে নয় বরং সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও তার অধীনের ক্লাবের বর্তমান বোর্ডের ওপর রাগ করেই যে লিওনেল মেসি ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন সেটা আগেই থেকেই পরিস্কার করেছিলেন লিওনেল মেসি। দশ দিনের দলবদল আলোচনা শেষে মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তি পূর্ণ করতে আরও এক মৌসুম বার্সেলোনায় থাকবেন তিনি। তবে অনিচ্ছা স্বত্বেও এই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে মেসি বার্সেলোনার প্রতি যতোটা ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন বার্তোমেউর বিপক্ষে ঠিক ততোটাই ক্ষোভ ঝেড়েছেন। ক্লাব সভাপতিকে ‘প্রতারক’ই বলে ফেলেছিলেন মেসি।

বিজ্ঞাপন

তবে অতীত নিয়ে যেন আর মাথা ঘামাচ্ছেন না বার্তোমেউ। তিনি বলেন, ‘মেসিকে ঘিরেই ক্লাব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছিল। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসব না। সমালোচনার মুখে পড়ব জেনেও আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখানে সে খেলা চালিয়ে যাবে কিনা, তা জানানোর একটা সময়সীমা ছিল। সেই সময়ের মধ্যে সে করেনি, তাই তাকে এখানেই থাকতে হয়েছে। আমরা সবাই চাই, সে এখান থেকেই অবসরে যাক।’

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্লাবের আর্থিক ক্ষতির দিকটি বিবেচনায় নিয়ে ফুটবলাররা বেতনের কিছু অংশ কম নিতে সম্মত হয়েছে তাতেও ফুটবলারদের প্রশংসা করেন বার্তোমেউ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বেতন সামঞ্জস্যের ব্যাপারে আমাদের খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টার আমরা প্রশংসা করি। এটা বেতন কমানো নয়, ক্লাবের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা। আমার বিশ্বাস, আলোচনার টেবিল এটা ভালোভাবে শেষ হবে।”

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন