বিজ্ঞাপন

বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিন অনশনে শিক্ষার্থীরা

October 28, 2020 | 3:42 pm

বশেমুরবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট

বশেমুরবিপ্রবি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ছয় শিক্ষার্থী দ্বিতীয় দিনের মতো ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন করছেন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব তাদেরকে মুঠোফোনে অনশন বন্ধ করে রবিবার দেখা করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ভর্তির নিশ্চয়তা না পাওয়ায় তারা উপাচার্যের প্রস্তাবে সম্মত হননি এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ই ইউনিটের অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থী মো: মিলন আলী বলেন, আমরা ইতোপূর্বে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ তারা বলেছিলেন পরবর্তীতে ভর্তি নেয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। পরবর্তীতে আমরা নতুন উপাচার্য যোগদানের পর তাকে চিঠি দেই, কিন্তু তিনিও কোনে পদক্ষেপ নেননি। একারণে আমরা ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন করছি।’

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. এম.এ.সাত্তার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার পরেও তিনবার অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকেছি। এমনকি তৃতীয়বারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ফোন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আসন ফাঁকা ছিল। যেহেতু তিনবার অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও সিট ফাঁকা ছিল এবং আমাদের শিক্ষক, রুম সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে, ফলে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।’

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু কাউকে ডাকিনি তার অর্থ আমরা আর কাউকে ভর্তি নেব না, এক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভর্তি বন্ধের নোটিশ দেয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের যারা ফোন করেছিলেন তাদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি আর কাউকে ভর্তি নেয়া হবে না।’

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, তাদের দাবি যদি যৌক্তিক হয় এবং রিজেন্ট বোর্ড যদি অনুমতি দেয় তাহলে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ভর্তি না নেয়ার কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, বশেমুরবিপ্রবিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফাঁকা আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে ২৭ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এ, বি, ই, এফ এবং এইচ ইউনিটের আট শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিসি

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন