বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারের ভয়ে হাইকোর্টে সুশান্তের দুই বোন

October 28, 2020 | 4:04 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিবিআই’র যে কোনও সময় গ্রেফতার করতে পারে সুশান্ত সিং রাজপুতের দুই বড় বোন প্রিয়াঙ্কা ও মিতু সিংকে। তাদেরকে অভিযুক্ত করে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।

বিজ্ঞাপন

গত ৭ সেপ্টেম্বর সুশান্তের দুই বড় বোনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তকে ‘জাল প্রেসক্রিপশন’ দেওয়ার অভিযোগে এফআইআরটি করেছেন রিয়া। তার দাবি, কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করে ওই প্রেসক্রিপশনটি তৈরি করা হয়। তার এফআইআরে দিল্লির চিকিৎসক ড. তরুণ কুমারেরও নাম রয়েছে। একজন কার্ডিওলজিস্ট হয়ে তিনি কী করে একজন অপরিচিতকে এই ধরনের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিয়া। প্রেসক্রিপশনে নিষিদ্ধ ওষুধের নাম যেমন রয়েছে, তেমনই এমন সব ওষুধ রয়েছে যা কোনও সঠিক ডোজ ও পরিমাণমতো গ্রহণ না করলে তা থেকে দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। বান্দ্রা থানায় দায়ের হওয়া ওই এফআইআর পরে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়।

এদিকে সেই এফআইআর বাতিল করার দাবিতে পিটিশন জমা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও মিতু। এদিকে তাদের পিটিশন বাতিল করার আর্জি জানিয়েছেন রিয়া। আগামী ৪ নভেম্বর ওই পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা। মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি এসএস শিন্ডে ও বিচারপতি এমএস কর্নিক এমন আবেদন করার কারন জানতে চাইলে সুশান্তের দুই বোন প্রিয়াঙ্কা ও মিতুর আইনজীবী মাধব থোরাট ওই দু’জনের পক্ষ থেকে আদালতকে জানান, যেহেতু ওরা দু’জন এই মামলায় অভিযুক্ত, তাই তারা যে কোনও সময় গ্রেপ্তার হওয়ার ভয় পাচ্ছেন। আর সেই কারনে মুম্বাই হাই কোর্টের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন পিটিশনের শুনানি দ্রুত শুরু করার জন্য।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন এক ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছিল, প্রিয়াঙ্কা তার ভাই সুশান্ত সিং রাজপুতকে প্রতিদিন ডিপ্রেশনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ওষুধ কেনার জন্য দিল্লির এক চিকিৎসকের বানানো প্রেসক্রিপশনও পাঠিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এর ছ’দিন পরেই সুশান্তের বেডরুম থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন