বিজ্ঞাপন

আ.লীগ প্রার্থী চাচ্ছেন না ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাক: জাহাঙ্গীর

October 31, 2020 | 3:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী চাচ্ছেন না ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাক’— এমনটিই অভিযোগ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের।

বিজ্ঞাপন

প্রচারণার নবম দিন শনিবার (৩১ অক্টোবর) উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের লেখক ড্রাইভ রোড, চৌরাস্তা, রবীন্দ্র সরণি রোড, হাউজ বিল্ডিং, মাসকট প্লাজার সামনে গণসংযোগকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। গণসংযোগে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

এ সময় তারা ‘খালেদা জিয়ার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই, ভোট দেবেন কিসে, ধানের শীষে, মা বোনদের বলে যাই ধানের শীষে ভোট চাই ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী চাচ্ছে না ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাক। এ লক্ষ্য পূরণে তারা বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস করছে, বিভিন্নভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের হুঁমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমরা যেখানে কর্মসূচি দিচ্ছি সেখানে পাল্টা র্কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। অথচ প্রতিটি কর্মসূচি দেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-১২ আসনের উপনির্বাচনে ভোটাররা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে জনগণের সাড়া দেখে আওয়ামী লীগ ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। যার কারণে জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় সেজন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী সব ধরনের কর্মকাণ্ড করছে,পরিকল্পনা করছে।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো দিনের ভোট রাতে করতে পছন্দ করে। তাদের তো ভোটের প্রয়োজন হয় না। ভোটের যে উৎসব তা আওয়ামী লীগ প্রার্থী করতে চান না। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গেলেই তো তাদের ভরাডুবি হবে। আমরা আশা করি, জনগণ আাওয়ামী লীগের সব বাধা উপেক্ষা করে আগামী ১২ নভেম্বর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে ফলাফল নিয়ে ঘরে ফিরবে। কারণ, এ আসনে যত উন্নয়ন হয়েছে তা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া করেছেন।’

তিনি বলেন ‘আজ ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশের অনুমতি নিয়ে গণসংযোগের কর্মসূচি দিয়েছিলাম। রানাভোলায় আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আমাদের যেসব নেতাকর্মী জমায়েত হয়েছিলেন, তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসন ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এভাবে যদি হয় তাহলে নির্বাচন কীভাবে হবে?

বিজ্ঞাপন

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমরা যে এলাকায় কর্মসূচি দিয়েছি সেখানে আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী রাস্তায় রাস্তায় লাঠিসোঠা হাতে মিছিল করছে। কেন মহড়া দিচ্ছেন? আওয়ামী লীগ চায় একটা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিতে। যাতে আমরা প্রচারণা চালাতে না পারি। সেজন্য তারা এসব পাঁয়তারা করছেন। আমাদের দলের নেতারা সর্বোচ্চ ধৈর্য্য সহকারে প্রচারণা চালিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা তাই করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে কোনো কোন্দল নেই। এখানে সবাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন সবাই নিজ উদ্যোগে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। নেতাকর্মীসহ এই এলাকার সব মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। জনগণই আমাদের শক্তি। এবার ভোট কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্ট থাকবে, ভোটাদের সহযোগিতা করতে নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রের আশপাশে থাকবে।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রশাসনের ওপর হামরা করে কারা? নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত করেছে কারা? সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে হত্যা করছে কারা? আমরা সমস্ত কিছুর বিচার চাই। রায় আগামী ১২ নভেম্বর জনগণ দেবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাবেন, বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমরা সুশাসন দেব। গুম, খুন, হত্যা, নারী নির্যাতন, কোভিড নিয়ে সাহেদ-সাবরিনার মতো ঘটনাগুলো সবাই মিলে প্রতিহত করবো। সন্ত্রাস,মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ব।’

বিজ্ঞাপন

গণসংযোগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, মামুন হাসান, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে।

সারাবাংলা/এজেড/এমআই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন