বিজ্ঞাপন

‘সরকার সরানোর নাড়াচাড়া যত বেশি হবে, আ.লীগের শিকড় তত শক্ত হবে’

November 3, 2020 | 10:07 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেভাবেই করতে চেষ্টা করেন না কেন? জনগণের ভোট নিয়ে, জনগণের সমর্থন নিয়েই আমরা এসেছি এবং আমাদেরকে সরানোর জন্য যতবেশি নাড়াচাড়া করবে আমাদের আওয়ামী লীগের শিকড়টা ততবেশি আরও মাটিতে শক্ত হবে, পোক্ত হবে।‘

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রক্তাক্ত-শোকাবহ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তে আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুসন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগি ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে সভাটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সভার শুরুতেই ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-এর পর থেকে সরকারে এসেছি। অনেকভাবে চেষ্টা করা হয়েছে ক্ষমতা উৎখাত করার। বিডিআরের ঘটনা ঘটানো হল। হেফাজতের ঘটনা ঘটানো। নানা ধরনের ঘটনা। বহু রকমের কারসাজির চেষ্টা। কিন্তু জনসমর্থন নানা থাকলে, ষড়যন্ত্র করে খুন করে ফেলা যায়। হত্যা করে ফেলা যায়। কিন্তু জনসমর্থন না থাকলে কেউ ক্ষমতায় গিয়ে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতেও পারে না। দেশের কল্যাণও করতে পারে না, এটা হচ্ছে বাস্তবতা।

‘আর আওয়ামী লীগ ঠিকেই আছে শুধু জনগণের জন্য কাজ করার মধ্য দিয়ে। কারও দয়া ভিক্ষা করে না। আর কারও করুণা ভিক্ষা করে না। যারা এই অপপ্রচার চালাবার চেষ্টা করে, যারা সংঘাত সৃষ্টি করবার চেষ্টা করে। যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করবার চেষ্টা করে। তাদেরকে আমি এটাই বলবো, তারা কি ৩ নভেম্বরের ঘটনায় একবার কোনোদিন ভেবে দেখেছে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই আমরা শুধু এই দিবসটা পালন না; আমাদের সেই সাথে একথাও মনে রাখতে হবে। এই সমস্ত সন্ত্রাসী চক্র, খুনী চক্র, আমাদেও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, তারা কিন্তু বসে নেই। তাদের চক্রান্ত চলতেই থাকবে। যত ভালো কাজ আমরা কি না কেন? তাদের মুখ দিয়ে ভাল কথা বের হয়নি। কারণ তারা তো বাংলাদেশের মানুষের কথা ভাবে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের সমর্থনটা পাই কেন? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে। জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। আর জনগণ সেটা খুব ভালভাবে উপলব্ধি করে এবং এর শুভ ফলটা জনগণই পায়। আমাদের সরকারের কার্যক্রমে এই গ্রুপ বা এলিট শ্রেণির সুবিধা হয় না। বরং সুবিধাটা একেবারে গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের ঘরের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। সেই কারণেই তারা আমাদের সমর্থন দেয়, ইে কারণেই আমরা তাদের সমর্থন পাই। তাই এত অপপ্রচার এত কথা, এত মিথ্যাচার, এত কিছুর পরও আওয়ামী লীগ ঠিকে আছে। এত হত্যাকাণ্ড আর কোনো রাজনৈতিক দল আছে? যেখানে বারবার এত নেতারা আর এতজনকে জীবন দিতে হয়েছে? বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক দলকে এভাবে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়নি। এভাবে জীবন দিতে হয়নি। প্রত্যেকটা আন্দোলন সংগ্রাম, এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যদি শহীদের তালিকা দেখি, সেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আমাদের মুজিব আদর্শের সৈনিক তাদের তালিকাই আমরা দেখতে পাবো। তারাই জীবন দিয়ে বারবার জনগণের কথা বলে গেছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছে।‘

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করে গেছেন, যে আদর্শ নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আর্থসামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আজকে যেমন আমরা উন্নয়নশীল দেশে আমরা উন্নীত হতে পেরেছি। এটা অব্যাহত রেখে জাতির পিতার এই বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে। আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো-আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করে এবং জাতির পিতাকে স্মরণ করে আমরা সেই প্রতিজ্ঞাই নিচ্ছি, তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। বাংলাদেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো।’

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন