বিজ্ঞাপন

‘সমুদ্র সম্পদের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি’

November 5, 2020 | 4:11 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা চেয়েছি আমাদের এই সমুদ্রসীমা শুধু রক্ষা করা না, সমুদ্র সম্পদটাও যেন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারি। তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে এবং এই ধারণা নিয়েছি এবং তার ওপর কাজ করে যাচ্ছি। কারণ আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে হবে, এই সমুদ্রের যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। যে সমস্ত সমুদ্র সম্পদ আমাদের রয়েছে, সেই সম্পদ আহরণ করা এবং সেইগুলিকে কাজে লাগানো এটাই আমাদের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বানৌজা ওমর ফারুক, আবু উবাইদাহ, প্রত্যাশা, দর্শক এবং তল্লাশী-এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চট্টগ্রামের নেভাল বার্থ-১-এ যুক্ত হন।

এর মধ্য বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নৌবহরে সংযোজিত হলো নতুন দুটি আধুনিক ফ্রিগেট বানৌজা ওমর ফারুক, আবু উবাইদাহ ও একটি করভেট যুদ্ধজাহাজ প্রত্যাশা এবং দুইটি জরিপ জাহাজ বানৌজা দর্শক ও তল্লাশী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে জাহাজসমূহকে নৌবাহিনীতে কমিশনিং করেন। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধজাহাজসমূহ নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করলো। এর আগে চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসাখান নৌ জেটিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল জাহাজসমূহের অধিনায়কদের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীবাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সেই অবস্থানের কারণেই আমাদের যে বিশাল সমুদ্রসীমা, আজকে এই সমুদ্রসীমা অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের একে তো নদীমাতৃক দেশ, অপরদিকে এই বিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষা করা এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। জাতির পিতার নিজেরই স্বপ্ন ছিল এবং পাকিস্তান আমলেও তিনি যখন ছয় দফা দাবি পেশ করেছিলেন সেই দাবিতেও নৌ বাহিনীর ঘাটি এই ভূখণ্ডে হবে এটাও তার দাবি ছিল।’

স্বাধীনতার পর জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধস্ত দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের যে অধিকার আছে, এই অধিকারের ব্যাপারেও কিন্তু তিনি প্রথম সমুদ্রসীমা আইন করেন ১৯৭৪ সালে। এমনকি জাতিসংঘেও তখন সমুদ্রসীমা আইন হয়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই দুরদর্শি নেতৃত্বে আমরা দেখেছি, তিনি ৭৪ সালেই এই আইনটা করে দিয়ে যান। যার ফলে ১৯৭৫’র পর ২১ বছর পার হয়ে যায়, জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কিন্তু এইসব ব্যাপারে চিন্তাও করেনি, কোন উদ্যোগও গ্রহণ করেনি। সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের যে অধিকার; সেই অধিকারটা যে রাখতে হবে, রক্ষা করতে হবে বা অর্জন করতে হবে। সেরকম ব্যবস্থা কেউ নেয়নি। আওয়ামী লীগ একমাত্র যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকেই এই বিষয়টার উপর আমরা কাজ শুরু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নৌ বাহিনীতে বর্তমান প্রজন্মের উন্নত সাবমেরিন, আমেরিকান পেট্রোল এয়ারক্রাফট, যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকাপ্টার ও বিশেষায়িত বাহিনী সংযোজন করেছি এবং এর মাধ্যমে একবিংশ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা একটি ত্রিমাত্রিক নৌ বাহিনী গঠনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

নৌবাহিনীর অফিসার ও নাবিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী তার ক্রমাগত অগ্রযাত্রা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নয়। সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গৌঁরবের।’

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন