বিজ্ঞাপন

জোড়া খুনের আসামি লিমন অস্ত্র-সহযোগীসহ গ্রেফতারের পর কারাগারে

November 6, 2020 | 5:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে সংঘাতে জোড়া খুনের মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম লিমনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লিমন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। জোড়া খুনের ঘটনার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে লিমনকে নগরীর কোতোয়ালী থানার সিআরবি এলাকা থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করে ডিবি। এসময় তার সহযোগী সজল দাশের (২৩) কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী হোসাইন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা আলী হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, “সাইফুল ইসলাম লিমনের বিরুদ্ধে সিআরবি এবং আশপাশের এলাকায় কিশোর অপরাধীদের একটি চক্র নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়েছি। সম্প্রতি আদালত প্রাঙ্গনে একটি মারামারির ঘটনা তদন্তেও তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় দু’জনকে আজ (শুক্রবার) বিকেলে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

রেলওয়ের কোটি টাকার দরপত্রের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের সেসময়ের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে নগরীর সিআরবি (রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর) এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) এবং স্থানীয় বস্তির শিশু মো. আরমান (৮)।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার পর নগরীর কোতোয়ালী থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদি হয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারে সাইফুল ইসলাম লিমনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছিল। নিহত সাজু বিশ্বাসের মা পরে আরেকটি মামলা আদালতে করেন। আদালত দু’টি মামলা একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই মামলায় ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর ৬২ জনকে আসামি এবং ৩৭ জনকে সাক্ষী করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিবিআই অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এতে ৬৪ জনকে আসামি ও ১৭ জনকে সাক্ষী করা হয়। এই প্রতিবেদনে লিমনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন