বিজ্ঞাপন

শাহবাগ-মতিঝিল-গুলিস্তানসহ রাজধানীর ৮ স্থানে বাসে আগুন

November 12, 2020 | 2:43 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই রাজধানীর আটটি স্থানে বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শাহবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান, শাহজাহানপুর, সচিবালয়ের পেছনে, নয়াবাজার, কারওয়ানবাজার ও ভাটারা প্রগতি সরণীতে বাসে আগুন লাগানো হয়। তবে আগুনে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম সারাবাংলাকে জানান, শাহবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান, শাহজাহানপুর, সচিবালয়ের পেছনে, নয়াবাজার এলাকায় দুপুর ১২ থেকে ৩টার মধ্যে বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া কারওয়ানবাজর ও ভাটারা প্রগতি এলাকায় সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগানো হয়।

তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন। এরইমধ্যে কোনো কোনো এলাকায় আগুন নেভানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাসে আগুন লাগানোর ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদল একটি মিছিল করে। ওই মিছিলের পরই গোলাপ শাহ মাজার এলাকার একটি বাসে আগুন লাগে। পরে তারা আরও চার জায়গায় বাসে আগুন লাগার কথা জানতে পারে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকার একজন প্রত্যক্ষদর্শী সারাবাংলাকে বলেন, ছাত্রদলের একটি মিছিল প্রেস ক্লাব অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়। ওই মিছিল প্রেস ক্লাব এলাকা অতিক্রম করার পরপরই সচিবালয়ের পেছনের রাস্তায় একটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

গোলাপ শাহ মাজারে যে বাসটি পুড়েছে, ঘটনাস্থলটি পল্টন থানার অধীনে। এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মিছিল ওই এলাকা অতিক্রম করার পরই বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জেনেছি। ওই মিছিল থেকে ‘আগুন জ্বালাও’, ‘জ্বালাও পোড়াও’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে বাসে আগুন কে বা কারা দিয়েছে, সেটি এখনো জানা যায়নি। আমরা তদন্ত করছি।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে বাসে আগুন লাগার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েক প্ল্যাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আশেপাশের সড়ক ও গলিতেও রয়েছে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। এখান থেকে আটক করা হয়েছে দলটির একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে।

এদিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের এ সতর্ক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু ঢাকার কয়েকটি জায়গায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, তাই সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছে। আপনারা জানেন, এখনও একটা রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে। সে কারণে এ এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন