বিজ্ঞাপন

‘পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ভোগাবে’

November 14, 2020 | 9:50 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ভোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি। তিনি বলেন, এতে জ্ঞানের শূন্যতা তৈরি হবে। যা কাটাতে অনেক কষ্ট হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৪ নভেম্বর) সারাবাংলা ফোকাসে ‘করোনার অভিগাত: কোন পথে শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর রাজনীন ফারজানা। এ সময় আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর’র শিক্ষক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. হারুন অর রশীদ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘সব খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তারপরও পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এটার দায় পরবর্তী প্রজন্মকে বহন করতে হবে। অটোপাস মন্দের ভালো। শিক্ষার্থীরা কিন্তু ঘরে বসে নেই। তারা বাইরে ঘুরছে। তাহলে কেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে না? ওরা তো কিছু শিখছে না। পরীক্ষা না নেওয়ার কারণে পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষকদের ওপর চাপ বাড়বে।’

তবে ঢাবি শিক্ষক এম ওয়াহিদুজ্জান চাঁন বলেন, ‘করোনার প্রথম ধাক্কার পর অনলাইন ব্যবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রমও কিছুটা সচল হয়েছে। টেলিভিশন ও রেডিওতে মাধ্যমিক পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে। তবে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকায় এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে না। বাতিল হয়েছে এইচএসসির মতো অনেক পাবলিক পরীক্ষাও। এইচএসসি পরীক্ষাটি বাতিল হলেও এটি শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হয়েছে। কারণ পরীক্ষাটি দ্বারপ্রান্তে ছিল বলে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। এখন করোনার পর যদি পরীক্ষাটি হতো তাহলে হয়তো অনেকেই তাল মিলাতে পারত না। অনেকে ফেল করত। কারণ করোনায় তাদের পড়াশোনা বিভিন্ন কারণেই আটকে গিয়েছিল। কিন্তু এইচএসসির ফল এলে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে। দেশের বাইরে পড়তে যেতে পারবে। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আবার তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

বিজ্ঞাপন

এম ওয়াহিদুজ্জান চাঁন বলেন, ‘দেশে ডিজিটাল বাস্তবায়ন থাকায় এটিকে কাজে লাগিয়ে করোনার সময়েও পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া গেছে। এই ধরনের পরিস্থিতি অতিক্রম করার জন্য কীভাবে কাজ করতে হবে এটি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও কাজ হচ্ছে। করোনা মাহামারির এই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিখতে হবে। সেই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে হবে।’ ২০২১ সালে নতুন যে পাঠ্যক্রমটি করা হচ্ছে সেখানে এই অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পক্ষে মত দেন তিনি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেহেতু এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, সেখানে তাদের অর্জনের একটি প্রতিফলন রয়েছে। এজন্য এইচএসসির ফলাফল তৈরি করলে সেটি নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। হয়তো শতভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীই এই ফলে খুশি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেছে। এরা দুই বছর পড়াশোনা করেছে। অতিরিক্ত সময়েও পড়াশোনা করেছে। ফলে পড়াশোনা হয়নি সেটা বলা যাবে না। তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ছিল। এই প্রস্তুতি কাজে লাগিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভালো করতে পারবে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, করোনার কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে বাতিল হয়েছে এইচএসসিসহ এই বছরের সব পাবলিক পরীক্ষা। বাতিল হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষাও।

সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন