বিজ্ঞাপন

‘মজুদ’ পচা পেঁয়াজ চাক্তাই খালে, চসিক প্রশাসকের ক্ষোভ

November 17, 2020 | 7:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারত রফতানি বন্ধের পর দামের উর্ধ্বগতি দেখে মজুদ করা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই খালে ফেলেছেন চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। খাল থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে পচা পেঁয়াজের স্তুপ দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নগরীর চকবাজারের ধুনিরপুল এলাকায় চাক্তাই খাল থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এ চিত্র দেখেন সুজন।

এসময় এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘খাল-নালা তৈরি হয়েছে পানি চলাচলের জন্য। অথচ খালে ফেলা হচ্ছে পচা পেঁয়াজ। দাম বাড়তে দেখে পেঁয়াজ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। এরা ব্যবসায়ী নামধারী গণদুশমন। এদের সংঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। বাজারকেন্দ্রিক একশ্রেণির চাঁদাবাজা সিন্ডিকেট আছে, তাদেরও প্রতিহত করতে হবে।’

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পর বাংলাদেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এসময় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত একাধিকবার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজ মজুদের প্রমাণ পান। তবে বিকল্প দেশ থেকে আমদানি শুরুর পর সাম্প্রতিক সময়ে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় কাঁচাবাজারের আবর্জনা খাল-নালায় না ফেলার আহ্বান জানিয়ে সুজন বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। শীতের শুকনো মৌসুমে ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন খাল-নালা পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আপনাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, খাল-নালায় ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না। নিজের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখুন। পরিস্কারের পরও কোনো ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকতে বা ফেলতে দেখলে এলাকার বাসিন্দা-ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

করোনা প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে মঙ্গলবার থেকে চসিকের ছয়টি টিম মাঠে নেমেছে বলে জানান চসিক প্রশাসক।

নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন