বিজ্ঞাপন

পণ্য বিক্রিতে ওয়ালটন হাইটেকের ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

November 18, 2020 | 11:27 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে পণ্য বিক্রয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতায় ফিরেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন। চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ওয়ালটনের টেলিভিশন, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মুনাফা হয়েছে ৪০১ কোটি টাকা। বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্যও।

বিজ্ঞাপন

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রকাশিত চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ বা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি হিসাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটনের টিভি, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি ১৩.৫ শতাংশের মতো বেড়েছে।

এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনভিপিএস) বেড়ে ২৭৮ টাকা ৪৮ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ২৬১ দশমিক ৯২ টাকা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট অপারেটিং ক্যাশফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪২ দশমিক ৩১ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ৭ দশমিক ৫৭ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ২৬ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটন হাইটেকের মুনাফা হয়েছে ৪০১ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৩ টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে অর্জিত মুনাফার খুব কাছাকাছি। চলতি বছর সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষতি ও প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ালটন প্রথম প্রান্তিকে যথেষ্ট ভালো মুনাফা অর্জন করেছে বলে মনে করেন আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা। এদিকে জুনের প্রায় শেষে লকডাউন উঠতেই ওয়ালটন দ্রুত ব্যবসায়ের স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এসে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সফল হয়েছে মনে করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, এক প্রান্তিকেই এত বিশাল পরিমাণ মুনাফা অর্জনের রেকর্ড অন্য কোনো তালিকাভুক্ত দেশীয় কোম্পানির নেই। ব্যবসায়ে স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসার বিষয়ে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘করোনা মহামারিতে শুধু ইলেকট্রনিক্স খাতই নয়; দেশের প্রতিটি খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি মন্থর হয়ে পড়েছিল। তবে লকডাউন শেষে দেশের সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। করোনার প্রভাব কাটিয়ে ওয়ালটনের পণ্য বিক্রিতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ফিরে এসেছে। একই সময়ে বেড়েছে রফতানি বাণিজ্যও। নতুন করে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে না গেলে সবধরনের পণ্যে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এমন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। তবে উদ্যোক্তা পরিচালকরা পাবেন ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য এ বছরের ২৩ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন