বিজ্ঞাপন

শিরোপায় চোখ মিঠুনের

November 18, 2020 | 6:14 pm

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্টে

ব্যাটসম্যান হিসেবে অনেক আগেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বড় কোন টুর্নেমেন্টে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তার হয়নি। এবারই প্রথম বড় মঞ্চে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে জাতীয় দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দিবেন এই ক্রিকেটার। তবে বড় মঞ্চে নেতৃত্বে অনভিজ্ঞ হলেও তার চোখ থাকছে শিরোপায়।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেয়া অপর চার দলের দুই দল ফরচুন বরিশাল ও জেমকন খুলনা ইতোমধ্যেই অধিনায়ক চুড়ান্ত করেছে। বরিশালের নেতৃত্বে থাকছেন টাইগার ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল। আর খুলনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে টাইগার টি-টোয়েন্টি দলপতি মাহমুদউল্লার কাঁধে। বলা বাহুল্যই হবে তারা দুজনই নেতৃত্বে অভিজ্ঞ। জাতীয় দল তো বটেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিভিন্ন বড় বড় মঞ্চে নেতৃত্বের যে অভিজ্ঞতা আছে মিঠুনের তা নেই।

মিঠুনের চ্যালেঞ্জটা মূলত এখানেই। কেননা শিরোপা জিততে হলে হারাতে হবে তামিম, মাহমুদউল্লাহদের মত অভিজ্ঞ অধিনায়কদের। কিন্তু সেটা কীভাবে? সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে সেই রহস্যই ভেদ করলেন।

মিঠুনের মুখেই শুনুন, ‘সত্যি বলতে টুর্নামেন্টে খেলা প্রধান উদ্দেশ্যই কিন্তু শিরোপা জেতা। তবে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, প্লে অফে জায়গা করে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে হলে দল হিসেবে ভাল খেলতে হবে এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ জিততে হবে। যেহেতু আমাদের দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ তাই শিরোপাই্ আমাদের মূল লক্ষ্য।’

বিজ্ঞাপন

বলে রাখা ভাল ব্ঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির মত এত বড় মঞ্চে অতীতে অধিনায়কত্ব না করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই নেতৃত্ব দিয়েছেন এই টাইগার ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেড, গাজী ট্যাংক এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুলনা বিভাগ ও সিলেট বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তার আছে। হয়ত সেকারণেই বঙ্গবন্ধু টে-টোয়েন্টি কাপের নেতৃত্ব তাকে সেভাবে ছুঁয়ে যায়নি। তবে নেতৃত্বের যে দায়িত্ব সেটা তিনি নিজের শতভাগ দিয়ে পালন করবেন, সেই কথা কিন্তু দিলেন।

‘নেতৃত্ব নিয়ে আমার তেমন কোন রোমাঞ্চ নেই। আপনি জানেন আমি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী, গাজী ট্যাংক, প্রথম শ্রেণিতে খুলনা বিভাগ ও সিলেট বিভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছি। তবে আমার চেষ্টা থাকবে নিজের সেরাটি দিয়ে যেন দায়িত্ব পালসন করতে পারি।’

এদিকে মিঠুনকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়ে বেশ তৃপ্ত মনে হল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে। এর পেছনে কারণ একাধীক। প্রথমত: তিনি নেতৃত্বে অভিজ্ঞ, দ্বিতীয়ত: তিনি ভীষণ ঠান্ডা মাথার তৃতীয়ত, তিনি একজন পারফর্মার এবং চতুর্থত: তিনি খেলাটাও ভাল বোঝেন।

বিজ্ঞাপন

‘দেখেন মিঠুনের অনেক জায়গায় অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে। ঢাকা লিগে বেশ কয়েকবার অধিনায়ক ছিল। অনেক ঠান্ডা মাথার ছেলে, নিয়মিত পারফর্ম করে, আর খেলাটাও ভাল বোঝে।’

দল হিসেবে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ একথা দিন দুয়েক আগেই সারাবাংলাকে বলেছিলেন দলের ফ্রন্টলাইন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কারণটিও কম সঙ্গত নয়। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত প্লেয়ার্স ড্রাফটে কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্নি যাদের বেছে নিয়েছেন তাদের সিংহভাগই টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবেই খ্যাত। ব্যাটিংয়ে ক্ল্যাসিক লিটন দাস, বুমবুম সৌম্য-মোসাদ্দেক, মারকুটে জিয়াউর রহমান-শামসুর রহমান; ঠান্ডা মাথার মিঠুন। যে কোন মুহুর্তেই যারা ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করতে দারুণ পারঙ্গম। আর উইকেটের লামাগ ধরে রাখার প্রয়োজনে মুমিনুল হক তো আছেনই। তারা সবাই মিলে দলকে একটি লড়াকু সংগ্রহ এনে দিতে পারলে জয়ের বাদবাকি কাজ তাইজুল, মোস্তাফিজ, শরিফুলরা সেরে ফেলবেন।

তো এমন একটি দলকে নিয়ে শিরোপা জয়ের আশা করাটা নিশ্চই অমুলক নয়। হেড কোচ সালাহউদ্দিনও তেমনই জানালেন।

বিজ্ঞাপন

‘দেখেন এখানে মাত্র ৫টা দল। সবারই আশা থাকবে যেন চ্যাম্পিয়ন হয়। কেননা দল হিসেবে সবাই ভাল। সবাই চেষ্টা করেছে ভাল দল করার। আমাদেরও সেই চেষ্টা ছিল এবং আমাদের দলটিও মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ। আমার মনে হয় আমাদের দলের অনেক ইতিবাচক দিক আছে। আমার ব্যাটিং গভীরতাটা খুব ভাল। সবাই পারফর্মার। আমাদের বোলিং লাইনআপও ভাল। প্রতিটি দলেরই কম বেশি দূর্বলতা থাকে। আমাদেরও আছে। সেটা কাটিয়ে উঠে যদি আমরা খেলতে পারি আমি মনে করি আমাদের ভাল করার সম্ভাবনা আছে।’

২৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হবে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম দলে যারা আছেন: মোস্তাফিজু রহমান, লিটন দাস, মো. মিঠুন, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, মো. সৈকত আলী, মুমিনুল হক, রাকিবুল হাসান, সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয় ও মেহেদি হাসান।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএইচএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন