বিজ্ঞাপন

জর্জিয়ার পর মিশিগানেও ‘নিরাশ’ হতে হচ্ছে ট্রাম্পকে

November 21, 2020 | 6:58 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আশার শেষ আলোটুকুও নিভতে শুরু করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। এর আগে জর্জিয়াতে আবেদন করেও ফল উল্টাতে পারেননি। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বাইডেনকেই ওই অঙ্গরাজ্যে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারে মিশিগান বলছে, তারা নির্বাচনি ফল পুনর্গণনায় আগ্রহী নয়। তারা ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে ‘সাধারণ পদ্ধতি’ই অনুসরণ করতে চায়।

বিজ্ঞাপন

গত ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ‘মেইল ইন ব্যালট’ বা আগাম ভোট গণনায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। ভোটগ্রহণের চার দিন পর ৭ নভেম্বর জানা যায়, ইলেকটোরাল কলেজে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিশ্চিতভাবে পেছনে ফেলে জো বাইডেন হতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট।

ফল ঘোষণার প্রক্রিয়া চলাকালেই ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ভোটগণনায় কারচুপি হয়েছে। কিছু কিছু রাজ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদনও জানান তিনি। বিশেষ করে যেসব রাজ্যে তিনি একটা পর্যায় পর্যন্ত ভোটগণনায় এগিয়ে থেকেও বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন, নির্বাচনি ফল উল্টে দিতে সেসব রাজ্যকে টার্গেট করেন তিনি। তবে জর্জিয়াসহ কয়েকটি রাজ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নিরাশ হতে হয়েছে ট্রাম্পকে। এবার তিনি চেষ্টা করছেন কিছু রাজ্যের শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের ‘বুঝিয়ে’ ভোট পুনর্গণনা করাতে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ট্রাম্প যেসব রাজ্য নিয়ে নির্বাচনি ফলকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম মিশিগান। এই রাজ্যে ভোট পুনর্গণনা চাইছিলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে মিশিগানের সিনেট নেতা মাইক শারকি ও স্পিকার লি চ্যাটফিল্ডের বৈঠক হওয়ায় এই রাজ্যের ভোট পুনর্গণনা নিয়ে আলোচনা বেশি ছিল। তবে এই দুই রিপাবলিকান নেতা জানিয়েছেন, এসব বিষয় নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনাই হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এই রাজ্যে একসময় পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। মাইক শারকি ও লি চ্যাটফিল্ড বলছেন, হোয়াইট হাউজের বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়েছে করোনাভাইরাস মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে। এটি ছিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও একই তথ্য জানানো হয়।

পরে এক যৌথ বিবৃতিতে রিপালিকার পার্টির এই দুই নেতা বলেন, নির্বাচনের ফল বদলানো যেতে পারে— এমন কোনো বিষয়ে মিশিগানের সংসদ নেতা হিসেবে আমাদের কিছুই অবহিত করা হয়নি। মিশিগানের নির্বাচনি ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক যে প্রক্রিয়া রয়েছে, সেটিই অনুসরণ করা হবে। নির্বাচনের সময়ও আমরা একই কথা বলে এসেছি।

মাইক শারকি ও লি চ্যাটফিল্ডের এমন বিবৃতির পর মিশিগানেও যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফল উল্টে দিতে পারছেন না— এটি অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে এসেছে। ফলে সার্বিকভাবে নির্বাচনের ফল উল্টে বাইডেনকে পরাস্ত করার পথও ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে পড়ছে ট্রাম্পের জন্য। সেক্ষেত্রে ২৩২টি ইলেকটোরাল কলেজ নিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ পাওয়া বাইডেনকে ধরে ফেলার আশাও শেষ হওয়ার পথে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন