বিজ্ঞাপন

১১ ডিসেম্বর থেকে করোনার ভ্যাকসিন পাবে আমেরিকানরা?

November 23, 2020 | 11:17 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন এরই মধ্যে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। ৯৫ শতাংশ কার্যকর দাবি করে আবেদনের পথে রয়েছে মডার্নাও। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রেজেনেকা’র করোনা ভ্যাকসিনও রয়েছে একই রাস্তায়। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই করোনাভাইরাসের কোনো না কোনো একটি ভ্যাকসিন বাজারজাতকরণ ও সর্বস্তরে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েই যাবে। কিন্তু এই ভ্যাকসিন সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছাবে কবে?

বিজ্ঞাপন

বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিনিরা ১১ ডিসেম্বর থেকেই পেতে পারে করোনার ভ্যাকসিন। দেশটির করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কর্মসূচির প্রধান ড. মুনসেফ স্লাউই নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।

ড. মুনসেফ বলছেন, কোনো একটি ভ্যাকসিন যদি প্রয়োগের অনুমতি এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, খাদ্য ও ওষুধ অনুমোদনকারী মার্কিন সংস্থা) যদি দিয়ে দেয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা সেই ভ্যাকসিন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানোর প্রস্তুতি রেখেছেন।

ড. মুনসেফ ঘোষিত ১১ ডিসেম্বরের পেছনের কারণও রয়েছে। এরই মধ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদনের আবেদন জমা পড়েছে এফডিএ’তে। আগামী ১০ ডিসেম্বর এফডিএ’র ভ্যাকসিন অ্যাডভাইজরি কমিটির বসার কথা রয়েছে ওই আবেদন পর্যালোচনা করতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেদিনই এফডিএ’র পক্ষ থেকে ঘোষণা আসতে পারে ফাইজারের ভ্যাকসিন অনুমোদনের। ড. মুনসেফের বক্তব্য, ১০ ডিসেম্বর অনুমোদন পেলে তারা ১১ ডিসেম্বরই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহে সক্ষম হবেন।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম জানিয়েছে, জনসংখ্যার ভিত্তিতে রাজ্যগুলোর জন্য ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হবে। আর রাজ্যগুলোতে কারা আগে ভ্যাকসিন পাবে, সেই অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে রাজ্যগুলোই। তবে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কসহ যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, তাদের আগে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বেহাল দশা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই। দেশটিতে এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারাও গেছেন আড়াই লাখের বেশি মানুষ।

ফাইজারের পর ধরে মডার্নার ভ্যাকসিন অনুমোদনের আবেদন চলতি সপ্তাহে জমা পড়ার কথা রয়েছে। ৯৫ শতাংশ কার্যকর দেখানো এই ভ্যাকসিনটিও অনুমোদন পেতে পারে। ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন অনুমোদনের পর সেগুলো ব্যাপকভিত্তিতে প্রয়োগ করা সম্ভব হলে আগামী মে মাস নাগাদ ৭০ শতাংশ মার্কিনির শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুনসেফ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন