বিজ্ঞাপন

‘এন্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে’

November 23, 2020 | 7:40 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মানুষ ও পশুপাখিতে এন্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দেরি না করে এখনই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে একশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৩ নভেম্বর) ‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ ২০২০’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। যৌথভাবে সভাটির আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বাংলাদেশ এ.এম.আর রেসপন্স অ্যালায়েন্স (বিএআরএ) এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।

অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (প্রশিক্ষণ) ড. পল্লব কুমার দত্ত বলেন, এরই মধ্যে অনেকগুলো এন্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। রিজার্ভড এন্টিবায়োটিকগুলোও সহজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামি কয়েক বছরের মধ্যে নতুন কোন কার্যকর এন্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করা না গেলে সংকট ঘণীভূত হবে। তাই জীবন রক্ষাকারী রিজার্ভড এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ অফিসের এসেনসিয়াল ড্রাগস এন্ড আদার মেডিসিন এর টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ রামজি ইসমাইল বলেন, পশুপাখি ও মানুষ আমরা সকলেই একই পরিবেশ, মাটি ও পানি ব্যবহার করছি। কাজেই কোন একটি প্রাণীর জন্য অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ অন্যের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, হাত বাড়ালেই যেখানে এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায় সেখানে আমদানি কিংবা উৎপাদনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না গেলে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। তিনি বলেন, এন্টিবায়োটিকমুক্ত ডিম ও মাংস উৎপাদনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এজন্য খামারে জীবনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খামার ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে এবং সকল অনিবন্ধিত পিএস ফার্ম, হ্যাচারি, ফিড মিলগুলোকে অবশ্যই সরকারি নীতিমালার আওতায় আনতে হবে নতুবা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকারি সংস্থা, বেসরকারি উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন সহযোগিদের যৌথ উদ্যোগে অচিরেই একটি এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে কাজে নামতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, এ মাসেই এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের নগদ সহায়তা দেয়া শুরু হবে। সরকারের এ উদ্যোগ তৃণমূল খামারিদের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (খামার) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান এবং এফএও কর্মকর্তা রাহাত আরা করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কর্মকর্তা ডা. কামরুন নাহার, বিপিআইসিসি’র সহ-সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ ও ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান (শাহরিয়ার)।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিসি

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন