বিজ্ঞাপন

গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক

November 23, 2020 | 9:42 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় তাদের সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সুপারিশ করে প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম।

বিজ্ঞাপন

দুদকের বিধি অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে কারেও অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিললে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত ব্যক্তির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিতে কমিশনে সুপারিশ করেন। এরপর পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানে যদি অবৈধ সম্পদের বিস্তারিত প্রমাণ মেলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

দুদক সূত্র জানিয়েছে, গত অক্টোবরের শুরুতেই মনিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। পরে সেই অভিযোগ যাচাই করে অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেয় সংস্থাটি। অনুসন্ধানে মনিরের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পদ থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে, যেগুলোর বৈধ কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। শিগগিরই তার কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠানো হবে।

এদিকে, মনির হোসেনের স্ত্রী রওশন আক্তারের নামে দুদকের অনুসন্ধানে তিন কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ২৯৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। পেশায় গৃহিণী রওশন আক্তারের এসব সম্পদ অর্জনেরও কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক। ফলে তার সম্পদের বিবরণীও চাওয়া হবে দুদকের পক্ষ থেকে।

দুদক সূত্র বলছে, মনির ও তার স্ত্রী রওশন ২০১৬ সালের পরে এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত থেকে শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বাড্ডা থেকে অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাসহ গ্রেফতার করা হয় মনির হোসেনকে। গ্রেফতারের পর র‌্যাব জানায়, মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী, সোনা চোরাকারবারি ও ভূমির দালাল। তার একটি অটো কার সিলেকশনের শোরুম রয়েছে। পাশাপাশি গাউছিয়াতে একটি সোনার দোকানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। সোনা চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে সোনা বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির।

র‌্যাব আরও জানায়, রাজউকের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে মনির বিপুল পরিমাণ ভূমি দখল করে অর্থ-সম্পদের মালিক হন। ডিআইটি প্রজেক্ট ছাড়াও বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে তার দুই শতাধিক প্লট রয়েছে। রাজউকের সম্পত্তি বেদখল করে ও সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে তার সম্পত্তির পরিমাণ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন