বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সংগ্রামের বার্তা সম্পাদক কারাগারে

November 26, 2020 | 12:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দৈনিক সংগ্রামের বার্তা সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজাদ রহমান বলেন, এদিন শাহাদাত হোসেন সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণে করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, গত ২২ অক্টোবর দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীকেও একই মামলায় একই আদালত কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আফজাল হোসেন নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ ও প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজীসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযোগে থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত আবদুল কাদের মোল্লার ২০১৩ সালে ফাঁসি হয়। তখন কাদের মোল্লাকে ‘কসাই কাদের’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। কিন্তু রাজাকার অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির দোসররা দেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী আজ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

আসামি আবুল আসাদসহ অন্য আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত আনার জন্যই এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। এতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য এ ধরনের উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেন এই আসামিসহ অন্যরা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য আসামিরা সবসময় সচেষ্ট। এই আসামিসহ অন্য আসামিরা রাষ্ট্রদ্রোহী সংঘবদ্ধচক্রের সহায়তায় এই ধরনের উসকানিমূলক তথ্য প্রচারসহ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানকে অস্বীকার করেন।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন