বিজ্ঞাপন

জয়ের হুঁশিয়ারি— বুড়িগঙ্গার ধারেকাছে আইসেন, সব কয়টাকে ভাসিয়ে দেবো

November 26, 2020 | 10:53 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের দাবি তোলা খেলাফত মজলিশ ও নেতা মাওলানা মামুনুল হকের প্রতি ছাত্রলীগকে মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ বুড়িগঙ্গার ধারেকাছে এলেও তাদের বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আল-নাহিয়ান জয় বলেন, দেশবিরোধী একটি মহল আছে যারা পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। তারা ধর্মকে অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এমন নষ্ট ভ্রষ্ট মামুনুল হকের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চা— বুড়িগঙ্গার ধারেকাছে আইসেন, সব কয়টাকে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবো।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার পাশাপাশি ভাস্কর্য অপসারণের হুমকি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের মহাসচিব ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।

এ প্রসঙ্গ টেনে সমাবেশে আল-নাহিয়ান জয় বলেন, মামুনুল হক গংদের বলছি, সাহস থাকলে ছাত্রলীগের মোকাবিলা করুন। আমাদের কোনো প্রশাসনের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। ছাত্রলীগ যেমন শান্ত থাকতে পারে, ঠিক তেমনি অস্ত্র হাতে তুলে নিতে পারে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ অস্ত্র হাতে পাকিস্তানিদের হঠিয়েছিল। একই কাজ যদি আমাদের আবারও করতে হয়, তবে লেজ গুটিয়ে পাকিস্তান চলে যাওয়া ছাড়া আপনাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, ৫ মিনিটের মধ্যে ছাত্রলীগ সারাদেশ অচল করে দিতে পারে। সেই ক্ষমতা ছাত্রলীগের আছে। বসে বসে মাইকের সামনে বড় বড় কথা বলেন। অনেক দেখেছি। ৫ মে (২০১৩ সালের) শাপলা চত্বরে বড় বড় কথা বলেছিলেন মামুনুল হক। বলেছিলেন— সরকার নাকি রাতের মধ্যে দৌড়ে পালাবে। সেই বক্তব্য দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আমরা দেখেছি উনিই লেজ গুটিয়ে হেঁটে হেঁটে পালিয়ে গিয়েছেন। তাই বলব— সাহস থাকলে ছাত্রলীগকে মোকাবিলা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি জয় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও ইসলাম ধর্ম ও মাদরাসা শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য। তাই মামুনুল হকের মতো যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দেয়, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাদের বিষয়ে আপনারা সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।

মাওলানা মামুনুল হকরা স্বাধীন বাংলাদেশকে রক্ষণশীলতার চাদরে আবদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন বলে সমাবেশে দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদ্য সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, যারা এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই— বাংলা মায়ের কোলে আমরা যেমন ‘শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে’ হয়ে থাকতে জানি, ঠিক একইভাবে মৌলবাদ প্রতিহত করতে আমরা ‘আকাশ থেকে বজ্র হয়েও ঝরতে জানি’।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন