বিজ্ঞাপন

সবাই পাবেন ভ্যাকসিন, ঝুঁকি বিবেচনায় অগ্রাধিকার

November 27, 2020 | 12:30 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের প্রতিটি নাগরিক পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন পাবেন। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি যাদের ক্ষেত্রে বেশি, তাদের এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটির বাজারজাত শুরু হলে বাংলাদেশ প্রথম এই ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ বিষয়ে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষ পর্যায়ক্রমে করোনার ভ্যাকসিন পাবে। এ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে যারা রয়েছেন, তারা স্বাভাবিকভাবেই অগ্রাধিকার পাবেন। তবে পর্যায়ক্রমে সবাই এই ভ্যাকসিন পাবেন।

সভায় উপস্থিত বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, বিশ্বের যে ১৭টি দেশ অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

বিজ্ঞাপন

সভায় করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে। এসময় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের মধ্যে সই হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনবে।

সভায় জানানো হয়, এই টিকাটি দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে।

কারা এই ভ্যাকসিন পাবেন— এ বিষয়টি তুলে ধরে সভায় জানানো হয়, ভ্যাকসিনের পর্যায়ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারীর কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা কর্মী এবং গণপরিবহন কর্মী।

বিজ্ঞাপন

টিকাদান কার্যক্রম শুরুর আগেই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন এবং টিকা দিতে জাতীয় পর্যায়, জেলা পর্যায় ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও মহাপরিচালক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন