বিজ্ঞাপন

প্রয়োজনে এক বছরে দুই লিগ

November 28, 2020 | 5:03 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

করোনা অতিমারির দাপটে স্থগিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০১৯-২০ মৌসুমের খেলা এখনো শুরু করতে পারেনি ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিশ (সিসিডিএম)। মার্চে এক রাউন্ড শেষে স্থগিত হয়ে যাওয়া এই লিগ চলতি বছরে মাঠে গড়ানোর সুযোগও নেই। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে লিগের বাদ বাকি ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছে সিসিডিএম।

বিজ্ঞাপন

এর ফলে ওই বছরের প্রিমিয়ার লিগ ও চলতি মৌসুমের স্থগিত এই লিগ নিয়ে মোট দুটি লিগ অনুষ্ঠিত হবে। সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী এনাম আহমেদও বললেন প্রয়োজনে তারা তাই করবেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বারবারই বলে আসছেন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই লিগ ২০১৯-২০ মৌসুমের স্থগিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করা হবে। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে তা আর সম্ভবপর হয়ে উঠেনি।

তাছাড়া বিসিবিও যে হাত পা গুটিয়ে বসে আছে তা কিন্তু নয়। গত মাসে শেষ হলো করোনাকালে বিসিবি’র আয়োজনে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ। এদিকে চলতি মাসের ২৪ তারিখে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ যার পর্দা নামবে ১৮ ডিসেম্বর। এরপর শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ব্যস্ততা। কেননা ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ক্যারিবিয়ানদের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এমতাবস্থায় প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন বিসিবি’র পক্ষে বস্তুতই কঠিন। তাছাড়া লিগের ১২ দলের জন্য বায়ো বাবল তৈরিও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সঙ্গত কারণেই লিগ আয়োজনের জন্য আগামি বছরের বিকল্প বিসিবি’র হাতে নেই। এবং আশার কথা হলো লাল সবুজের সর্বোচ্চ প্রশসন তাই করবে। এমনকি প্রয়োজনে ডাবল লিগের পরিবর্তে তারা বদলে সিঙ্গেল লিগের আয়োজনের কথাও ভাবছে।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে একথা বলেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী এনাম আহমেদ।

তিনি জানান, ‘যদি একবছরও দরকার হয় বা আট মাসেও দরকার হয় এর ব্যবধানে যদি দুইটা সিঙ্গেল লিগও করা যায় সেরকম বিবেচনাও কিন্তু আমরা করতে পারি। যাতে খেলার মোট সংখ্যা হয়ত কমে যেতে পারে। তবে আমাদের প্লেয়ারদের বিষয়টা দেখতে হবে ক্লাবদেরও বিষয়টাও দেখতে হবে। যেহেতু গত মৌসুমের একটা ম্যাচ হয়েছে সেটাকেই শুরু করে আগে শেষ করা। সেটাই আসাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

‘দেখেন তিন টিমের বা পাঁচ টিমের বায়ো বাবল বেশি সহজ কিন্তু ১২ টিমের অনেক কঠিন। সকল মানুষই কিন্তু খুবই সচেতন তারা মাস্ক ব্যবহার করছে স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে। ক্লাবগুলোও যদি সেই দায়িত্ব নেয় আমরা যদি একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারি তাহলে বায়ো বাবলের মতো সুরক্ষিত হবে।’ যোগ করেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন