বিজ্ঞাপন

করোনার কারণে ঘাটতি পড়েছে এইচআইভি টেস্টে

November 29, 2020 | 8:54 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান বলেছেন, প্রতিবছর এইচআইভি টেস্টিং টার্গেট থাকে আমাদের। সেক্ষেত্রে চলতি বছরে কিছু ঘাটতি হয়েছে। যে পরিমাণ টার্গেট আমরা করেছিলাম, সে পরিমাণ টেস্ট আমরা কোভিড পরিস্থিতির কারণে করতে পারিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৮ নভেম্বর) এইচআইভি এইডস সম্পর্কে সমাজে বিদ্যমান কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য দূরীকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক পরামর্শ সভায় এ কথা বলেন মো. আক্তারুজ্জামান।

বিশ্ব এইডস দিবসকে সামনে রেখে সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এইচআইভি টেস্টের এর জন্য বড় একটি জায়গা হচ্ছে গামকা (গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিক্যাল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশন। গামকার আওতায় থাকা দেশগুলোতে যেতে হলে এইচআইভি টেস্ট করা বাধ্যতামূলক। বছরে এখানে প্রায় সাত লাখ পরীক্ষা করে থাকে। কিন্তু চলতি বছরে মার্চের পর থেকে এই পরীক্ষা বন্ধ ছিল। আর সাধারণত যাদের এই পরীক্ষা করানো হয় তারা লকডাউনের কারণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, হারিয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালগুলাতে মোট রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছিল। আর হাসপাতালে রোগী থেকেই এইচআইভি টেস্টিং সেন্টারে রেফার করা হয়ে থাকে টেস্ট করার জন্য।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে এইচআইভি এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের জীবন যাপন ভালো না। তাদের জীবন যাপন ইসলামিক না। এ জন্য তাদের এইডস হয়েছে। তাদের প্রথমে আঙুল তুলে দেখানো হয়, সে পাপাচার ও পাপি। এ জন্য কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য দূর করতে পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ইসলামিক প্রোগ্রামগুলোতে এইচআইভি এইডস ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে‌।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম।

তিনি বলেন বলেন, আট দশটা ক্রনিক ডিজিজেসের মতো এইডসও একটা রোগ। এ রোগ একেবারে সেরে যাবে না।

বিজ্ঞাপন

এইচআইভিতে আক্রান্ত হলে মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তবে আজকে আক্রান্ত হলে কালকেই যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে তা নয়। কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যেকোনো ইনফেকশনেই মৃত্যু হতে পারে। আমরা যে কাজটা করি, ওষুধ দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি।

রোগটা যাতে না ছড়ায় সেজন্য প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে ২৮টি এইচটি সেন্টার আছে। জিন এক্সপার্ট মেশিন এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। মেশিনটি ইতিমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তাই দ্রুত সময়ে বাকিদের শনাক্তের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অভিনয় শিল্পী মামুনুর রশীদ, আজাদ আবুল কালামসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন