বিজ্ঞাপন

এইডস প্রতিরোধে ‘৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে পিছিয়ে বাংলাদেশ

December 1, 2020 | 12:02 pm

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০৩০ সালের মধ্যে ব্যক্তি, পরিবার, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে এইচআইভি এইডস নির্মূল করতে জাতিসংঘের ‘ফাস্ট ট্র্যাক স্ট্র্যাটেজি’ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ৯০ শতাংশ সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তকে চিহ্নিত করা, চিহ্নিত ব্যক্তিদের ৯০ শতাংশকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা ও চিকিৎসাধীনদের ৯০ শতাংশের ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখা- এই তিন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জাতীয় কৌশলপত্রও প্রণয়ন করেছে সরকার। তবে বিশ্বজুড়ে চলমান নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এক্ষেত্রে চলতি বছর এইচআইভি এইডস শনাক্তকরণের পরীক্ষার ওপরে পড়েছে প্রভাব। সবকিছু মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ সন্তোষজনক গতিতে এগিয়ে গেলেও সম্পূর্ণ অর্জনে এখনও অনেক কিছু করার বাকি।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল (এনএএসসি) প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, ‘৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনের কাজে ২০১৯ এর তুলনায় শনাক্তকরণ কিছুটা বাড়লেও প্রায় ৪০ শতাংশ এখনও মিসিং আছে। ৭০ শতাংশের ওপরে চিহ্নিত ব্যক্তিদের চিকিৎসার আওতায় আনা গেছে। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে বলা যায় ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ করা গেছে।

জানা যায়, বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মেলে ১৯৮৯ সালে। দেশে এখন পর্যন্ত দেশে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণ ০.০১ শতাংশের কম। দেশের ২৩টি জেলায় এইচআইভি রোগী বেশি শনাক্ত হওয়ায় সেসব এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। বর্তমানে দেশের ২৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১১টি সেবা সেন্টারে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০১৯ সালে ৯১৯ জনের মাঝে এইচআইভি এইডস সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এবছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭০ জন। দেশে বর্তমানে এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। যার মধ্যে ১ হাজার ২৪২ জন মারা গেছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশে এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত সাত হাজার ৩৭৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখনও শনাক্তের বাইরে ৬ হাজার ৬২৬ জন। অর্থাৎ আক্রান্ত রোগীর প্রায় অর্ধেকই এখনও শনাক্তের বাইরে রয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত যারা শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪২ জনের ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনের ক্ষেত্রে চলতি বছরে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর কারণে এইচআইভি-এইডস শনাক্ত পরীক্ষায় কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একই সময় হাসপাতালগুলোতেও কমে এসেছে রোগীর সংখ্যা। একই কারণে সন্দেহভাজন রোগীকে শনাক্তের আনা যাচ্ছে না।

এছাড়াও দেশের জনসংখ্যার পাশাপাশি বর্তমানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যেও এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত রোগীর উচ্চহারের পরিসংখ্যান দেখা যায়। সেখানেও সব আক্রান্ত ব্যক্তিকে এখনও শনাক্তকরণের আওতায় আনা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত ৫০৭ জন রোহিঙ্গার মাঝে এইচআইভি এইডস ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা গেছে। যাদের মধ্যে ৪৬৫ জন এইচআইভি আক্রান্তকে বিনামূলে কক্সবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সামগ্রিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিবি-লেপ্রসি ও এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডাইরক্টের অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, “ইতোমধ্যে চতুর্থ হেলথ সেক্টর কর্মসূচির অপারেশনাল প্ল্যান পর্যালোচনায় আরও একবছর বাড়িয়ে হালনাগাদ করা হয়েছে। এইচআইভি-এইডস কার্যক্রমের সঙ্গে এসটিআই (যৌনরোগ) কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় শনাক্তের পরিমান কিছুটা বাড়লেও আমাদের এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ মিসিং আছে। অর্থাৎ ‘৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনের প্রথম ধাপে ৬০ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগ্রেসিভলি ইম্প্রুভ করেছি। এ ক্ষেত্রেও গত বছরের চাইতে বেড়ে ৭০ শতাংশের ওপরে আছে। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এ বছর আরও বাড়বে বলে আশা করছি। কোভিড-১৯ এর কারণে শতাংশ হিসেবে ভাবতে গেলে হয়তোবা কিছুটা কম হয়েছে নমুনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কিন্তু ওভারঅল তেমন কমে নাই।”

বিজ্ঞাপন

বিশ্ব এইডস দিবস আজ

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে ২৮টি এইচটি সেন্টার আছে। জিন এক্সপার্ট মেশিন এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। মেশিনটি ইতোমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তাই দ্রুত সময়ে বাকিদের শনাক্তের আওতায় আনা সম্ভব হবে। প্রতিদিনই আমাদের সফলতার পালক যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অর্জন। এক্ষেত্রে আমাদের বড় সফলতা হলো এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আট-দশটা ক্রনিক ডিজিজেসের মতো এইডসও একটা রোগ। এ রোগ একেবারে সেরে যাবে না। এইচআইভিতে আক্রান্ত হলে মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তবে আজ আক্রান্ত হলে কালই যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে সেটা নয়। কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যেকোনো ইনফেকশনেই মৃত্যু হতে পারে। আমরা যে কাজটা করি, ওষুধ দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো।’

করোনার কারণে শনাক্তের হার কমেছে কিছুটা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবছর আমাদের এইচআইভি এইডস সংক্রমণ শনাক্তকরণের জন্য পরীক্ষার একটা লক্ষ্যমাত্রা থাকে। নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেখা গেছে সেখানে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। আমরা আগে ৭ থেকে ৮ লাখ বিদেশগামী বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য যাওয়া যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করে থাকতাম। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে মার্চের পর থেকে বিদেশ যাওয়া বন্ধ ছিল। সঙ্গত কারণে গামকাও (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশন) বন্ধ হয়ে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘গামফার আওতায় থাকা দেশগুলোয় যেতে হলে এইচআইভি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। গামকার অধীনে দেশে ৬৮টা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে। তাদের টেস্ট সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। সে কারণে যেখানে আমাদের ৭ থেকে ৮ লাখ টেস্ট হওয়ার কথা সেখানে হয়েছে মাত্র আড়াই থেকে তিন লাখ। আর একারণে শনাক্তও কমেছে। আবার দেখা গেছে এ সময়ে যাদের এ পরীক্ষা করানো হয়, সেই মানুষগুলোও লকডাউনের কারণে হারিয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালগুলাতে মোট রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছিল। আর হাসপাতালে রোগী থেকেই এইচআইভি টেস্টিং সেন্টারে রেফার করা হয়ে থাকে টেস্ট করার জন্য। তবে আশার কথা হচ্ছে এই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমরা আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে তাতে আমরা ভালো ফলাফল পাবো।’

‘৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনের বিষয়ে মো. আক্তারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের তথ্য অনুযায়ী আমরা ৫০ শতাংশের বেশি সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তকে শনাক্ত করতে পেরেছি। ৭০ শতাংশের কাছাকাছি চিহ্নিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা হয়েছে। চিকিৎসাধীনদের ৮০ শতাংশের অধিকের ক্ষেত্রে আমরা ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখতে পেরেছি। এটা আসলে একটা সাকসেস রেট। চিকিৎসাটা ভালো হচ্ছে কিনা সেটা বোঝার জন্য এই পরীক্ষাটা করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সেটআপে আমাদের তিন শতাধিক মেশিন আছে। বেসিক্যালি সেগুলো টিবি টেস্টের জন্য। কিন্তু আমরা জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে আমাদের ১১টি জায়গায় ভাইরাল লোড মেশিন আছে। এই মেশিনটা একটা মাল্টিপল মেশিন যা দিয়ে হেপাটাইটিস, যক্ষাসহ নানা পরীক্ষা করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এখনো আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি নাই। বিমানবন্দরে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হলে আসলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতোমধ্যে কিছু স্থানে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে কিন্তু সময় লাগবে। তবে বিমানবন্দরে এটা সম্ভব নাও হতে পারে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বেনাপোল স্থল বন্দরে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে স্ক্রিনিংয়ের চিন্তাভাবনা করছি। কারণা এলাকাটি শার্শা উপজেলার আওতাধীন। সেখানের একজন স্বাস্থ্যকর্মী কিন্তু সেই এলাকার চেকপোস্টে বসেন। তাদের আমরা গত মাসে ট্রেইন করেছি এবং চেষ্টা করছি খুব দ্রুত কিছু কিট সাপ্লাই দেওয়ার জন্য। খুব দ্রুতই সেটা শুরু করার পরিকল্পনা আছে।’

প্রবাসীদের ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ভাবছি যেসব এলাকায় প্রবাসীরা বেশি থাকে যেমন সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজারসহ কিছু এলাকায় আমরা গ্রামে গ্রামে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা করছি। কারণ দেখা গেছে আমাদের দেশের যারা কমিউনিটি ক্লিনিকেও কাজ করে তারা আসলে জানে যে কোন পরিবারের সদস্যরা বিদেশে থাকে বা বিদেশ থেকে আসছে। আমরা তাদের মাধ্যমে আমরা ট্রেকিংয়ের চেষ্টা করছি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) স্ট্রেনদেনিং অব এইচআইভি সার্ভিসেস প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মেরিনা আখতার সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর পর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যদি বলা হয় তবে আগের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালোর দিকে। এক্ষেত্রে যদি শনাক্তের বিষয়ে বা টেস্টিংয়ের সংখ্যার বিষয়ে বলা হয় তবে বলতে হবে যারা টেস্ট করছে তারা আমাদের কার্যক্রমের আওতায়ও আসছে বেশি কম্পারেটিভলি এবং ভাইরাস এপ্রোশনও এখন দেখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে কোভিড-১৯ এর কারণে নমুনা পরীক্ষা বা শনাক্তকরণ কার্যক্রম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু যদি তুলনামূলকভাবে বিবেচনা করা হয় তবে দেখা যায় বিগত বছরের তুলনায় যত মাসেই যে পরিমান রোগীদের সার্ভিস দিয়েছি এ বছরে তত সময় না পেলেও যা পেয়েছি তা তুলনামূলকভাবে ভালো। সরকার ইতিবাচকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মেডিকেল কলেজগুলোতে রি-এজেন্ট, ভাইরাল লোড চলে গিয়েছে। এগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলেই চিকিৎসাধীনদের ৯০ শতাংশের ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া যাবে। এখানে গণমাধ্যমেরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে সচেতনতা সৃষ্টি করার কাজে।’

বিএসএমএমইউতে ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮ জন এইডস আক্রান্ত মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন জানিয়ে ডা. মেরিনা বলেন, ‘এইচআইভি সংক্রমিত ১০২ জন মা ঢাকার পিএমটিসিটি’র আওতায় ছিল। এর মধ্যে বিএসএমএমইউতে ৮৮ জন মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছে। এর মধ্যে ৮০ জন বাচ্চার আমরা পিসিআর নমুনা পরীক্ষা করাতে পেরেছি। তারা সবাই নেগেটিভ ছিল। বাকি বাচ্চাদের এখনও টেস্টের সময় হয় নাই।’ আমাদের এখানে ডায়াগনসিস কম হলেও নমুনা পরীক্ষা বেশি কাভার করা হয়েছে বলেও জানান ডা. মেরিনা।

সম্প্রতি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের আওতায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশের আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেশি, রংপুর বিভাগে কম। ঢাকায় এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫২২ জন। চট্টগ্রামে ২ হাজার ৮ জন, সিলেটে এক হাজার ২১৯ জন, খুলনায় ৬৬০ জন, রাজশাহীতে ১৯২ জন, বরিশালে ১৭৯ জন, ময়মনসিংহে ৮৬ জন, এবং রংপুর বিভাগে ৬৮ জন এইচআইভি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। ২৩টি জেলায় সংক্রমিত ব্যক্তি বেশি শনাক্ত হওয়ায় সরকার ওই এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১১টি সেবা সেন্টারে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/এসবি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন