বিজ্ঞাপন

পাঁয়তারা করবেন না, আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন : কাদের

March 15, 2018 | 2:39 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, অহেতুক আদালতের বিষয়কে রাজনীতির মাঠে নিয়ে এসে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। আদালতকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি-২৭ নম্বরে হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি একথা বলেন।

১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শুরুতে নেপালে উড়োজাহাজ বিধস্তের ঘটনায় শোক কর্মসূচি পালনে দোয়া-মিলাদ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় সম্মান করে। আপনারা যেসব অভিযোগ করছেন এগুলো বাস্তবে ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার। স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের নজির এ সরকারের আমলে আমরা সৃষ্টি করিনি। তার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ফেনীর ঘটনা।’

‘কাজেই আপনারা আদালতের বিষয়কে কেন রাজনীতির মাঠে নিয়ে এসে অহেতুক দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন স্বাধীনভাবে। বেগম জিয়ার দণ্ড দিয়েছে আদালত, জামিনও দিয়েছে আদালত। এখন আবার আদালতের নিয়ম অনুযায়ী আপিল বিভাগে সিদ্ধান্ত হবে আগামী রোববার।’

এখানে সরকারের কোনো প্রভাব, হস্তক্ষেপ কিছুই নেই। অহেতুক আপনারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।

বিজ্ঞাপন

অহেতুক সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। সরকার নিজের লোককেও ছাড় দেয়নি। আদালতের কার্যক্রমে কখনো হস্তক্ষেপ করেনি বলেও যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরো বলেন, ‘এই নিয়ে কেন বিএনপি অহেতুক হইচই করছে আমি জানি না আদালতের বিষয়কে রাজনীতির মাঠে এনে এখন তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত- বাংলাদেশের জনগণ তাদের এ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না। তারা অনেক চেষ্টা করেছেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে। কিন্তু দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি। সাড়া দেবেও না-এটাই স্বাভাবিক।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘নির্বাচন সামনে। আমরা নির্বাচনের কাজ করে যাচ্ছি। দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকুক। নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে জনগণ কাকে চায়, কাকে চায় না। জোর করে ক্ষমতায় আমরা কখনো থাকিনি। বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় আমরা আসিনি। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরে গিয়েছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসার নজির নেই। এই ইতিহাস বিএনপির আছে।’

কাজেই অহেতুক মিথ্যাচার করবেন না। আমাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। জনগণ নির্বাচনে রায় দেবে। তাই আসুন নির্বাচনে জনগণ চাইলে আমরা ক্ষমতায় থাকব, না চাইলে আমরা সরে যাব। জোর করে ক্ষমতায় থাকার কোনো দুরভিসন্ধি আওয়ামী লীগের ইতিহাসে ছিল না, আজো নাই। এটা আমি পরিষ্কারভাবে দলের পক্ষে দেশবাসীকে জানিয়ে দিলাম।

বিজ্ঞাপন

দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখন থেকে মানসিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান কাদের।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এনআর/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন