বিজ্ঞাপন

‘বাকশাল গঠন বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল’

December 1, 2020 | 4:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের উন্নতির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) গঠন করেছিলেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। আমাদের উচিত বাকশাল বিষয়ে নেতিবাচক আলাপ পরিহার করা এবং উন্নতির জন্য পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করার যে দর্শন বাকশালে রয়েছে, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজে অংশ নিয়ে আলোচকরা মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ওপরের কথাগুলো বলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় নবনির্মিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আবদুল মুহিত বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন। দেশ-বিদেশের একাধিক কূনীতিক এই লেকচার সিরিজে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে অংশ নেন।

বিশেষ আলোচক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) গঠন করার বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সার্বিক উন্নতির জন্য বাকশাল একটি বিশেষ তাৎপর্যময় চিন্তার ফসল ছিল। বাকশালের বিষয়টা ছিল সবগুলো রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা, যেন সবাই মিলে সহযোগিতা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়। এই বাকশাল কাঠামো করে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের মানুষের উন্নতিসহ আঞ্চলিক পর্যায়ে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়াতে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করব, বাকশাল নিয়ে যেসব অপপ্রচার রয়েছে তা বন্ধ হবে। যে উদ্দেশ্যে এবং যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাকশাল গঠন হয়েছিল, তা যেন আমরা ধরে রাখতে পারি।’

মূল আলোচক সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের বিষয়টি আমার বক্তৃতায় বাদ পড়েছে। আমি আমার এই বক্তৃতার অংশটুকু শিগগিরই হালনাগাদ করে প্রকাশ করব। সেখানে আমি বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্যসহ সার্বিক বিষয় তুলে ধরব।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার পুরো সময়জুড়ে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমাসে কমপক্ষে একটি করে লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলোতেও এই অনুষ্ঠান চলবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন