বিজ্ঞাপন

নিম্নমুখী সবজি-পেঁয়াজ, ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম

December 4, 2020 | 5:23 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাজারে সবজি এখন ক্রেতাদের হাতের নাগালে। বেশিরভাগ সবজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে পেঁয়াজের দামও। তবে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। মিনিকেট চাল প্রতি কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ টাকা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বার্মা ৩০ ও চায়না ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কারওয়ান বাজারে চায়না আদা ১০০ টাকা, চায়না রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও দেশি রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া, পাইকারি বাজারে আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে আলুর দাম ৫০ টাকা। মহাখালীর বউবাজারের দোকানি শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সবজির মধ্যে কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি শিম এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও মাঝারি আকারের ফুলকপি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। আর প্রতি কেজি শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

এছাড়া বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, বটবটি ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা আনিস সারাবাংলাকে বলেন, ‘সব ধরনের সবজির দামই কমেছে। ৫০ টাকা কেজিতে বেশিরভাগ সবজি মিলছে। কোনো কোনো সবজি এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতেও পাওয়া যাচ্ছে।’

এদিকে, মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৩৫ টাকা, ঢেঁরস ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, সিম ৪০, বেগুন ৫০ টাকা ও কড়লা ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি ৩০ ও পাতা কপি ৩০ এবং লাউ ৫০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আর এই বাজারে শশা ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে থেকে ১২০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা হালিতে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা ও আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সয়াবিন তেল ১১৭ টাকা লিটারে ও ডিম ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও ডিম ৩৫ টাকা হালিতে বিক্রি হয়েছিল।

এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। দুই-একটি সবজির দাম কমেছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম আগের মতো রয়েছে।’

তবে বাজারে চালের দাম ফের কিছুটা বেড়েছে। মিনিকেটের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কেজিতে চালের দাম এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।’

কারওয়ান বাজারের হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে মিনিকেট ২৮০০ টাকা বস্তায় বিক্রি হলেও এখন দাম ২৮৫০ টাকা। ৫৮ টাকা কেজির নিচে এখন আর মিনিকেট পাওয়া যাবে না। অন্যান্য চালের দামও বেড়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, কারওয়ান বাজারে গরু ৬০০ ও খাসি ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২০০ টাকা ও সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন