বিজ্ঞাপন

স্বীকৃতি মানে এই নয় হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা করেছি: কাদের

December 7, 2020 | 2:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: হেফাজতের সাথে সরকারের সম্পর্কের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে ১৪ লাখ কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী আছে। তারা মেইনস্ট্রিম থেকে দূরে আছে। তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মেইস্ট্রিমে আনার জন্য স্বীকৃতির দাবিটাকে ন্যায়সম্মত মনে হয়েছে। সেজন্য তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় তাদের সাথে সমঝোতা করেছি। হেফাজত কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়, যে তাদের সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা করব।’

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর হামলা করে যে ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে, সেজন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ধোলাইপাড়ে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কাজ চলছে। ভাস্কর্য হবেই। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা সংবিধান ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। কারণ বঙ্গবন্ধু সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা।’

বিভিন্ন ইসলামিক দেশের উদাহরণ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানের মতো দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। সেখানেতো ভাষ্কর্য নিয়ে কথা হয় না। দেবতাকে পূজা করা হয়। মানুষকে পূজা করা হয় না। বাংলাদেশে ধর্ম খুব স্পর্শকাতর। তাই হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে উস্কানিমূলক কিছু করে দেশে অস্থিতশীল অবস্থা তৈরি হোক, তা আমরা চাই না। রাজনৈতিকভাবে সংকটের সমাধান করতে চায় সরকার।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় একটি নন পলিটিকাল সংগঠন মামলা করেছে এ বিষয়টি আপনারা কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়। তাই অরাজনৈতিক কোনো সংগঠন মামলা করা ইতিবাচক।’

কাউকে হুকুমের আসামি করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত প্রমাণ না পেলে কাউকে ভিক্টিমাইজ করা উচিত না। কেউ হুকুম দিয়েছে এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা সরকারে আছি, ক্ষমতায় আছি। আমাদের ঠাণ্ডা মাথায় এগুতে হবো। কথায় কথায় মাথা গরম করলে চলবে না। বুঝে শুনে আমাদের পরিস্থিতিটা সামলাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বিষয়গুলো দেখছেন ও টেকেলও করছেন সেভাবে। অহেতুক দেশে অশান্তি, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা যুক্তি দিয়ে বলতে চাই।’

হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চেয়েছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাদের সাক্ষাৎ দেবেন কিনা সেটি আমি জানি না। আলোচনার সুযোগ আছে কিনা সেটাও প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।’

বিজ্ঞাপন

মুসলিম দেশগুলোতে মাঝে মাঝে এ ধরনের ধর্মীয় ইস্যু চলে আসে, এর পেছনে রাজনৈতিক কারণও আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘শাপলা চত্বরে হেফাজতের ব্যানারে একটা আন্দোলন হয়েছিলো। সেটা তো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আমরা এগুলো অবজারভ করছি। এখন তো বাংলাদেশের সব সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ করছে।’ কিছু কিছু বিষয় আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন