বিজ্ঞাপন

রফতানি সম্ভাবনাময় ৪ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৪০ কোটি টাকার তহবিল

December 8, 2020 | 6:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, হালকা প্রকৌশল ও চামড়া শিল্পখাতের ২৫০ প্রতিষ্ঠানের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে সরকার। রফতানির জন্য সম্ভাবনাময় বিবেচনায় এসব খাতের পণ্য উৎপাদনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শিল্প এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৪০ কোটি টাকার (চার কোটি মার্কিন ডলার) তহবিল গঠন করা হয়েছে। এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরের পল্টন টাওয়ারে অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান প্রকল্প পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম। ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন- ‘প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতিতে কোরামিনের মতো কাজ করেছে’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম বলেন, আগামীকাল বুধবার (৯ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে চার কোটি মার্কিন ডলারের ওই তহবিল অবমুক্ত করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তৈরি পোশাক খাতের বাইরে আলোচ্য চারটি খাতের নির্বাচিত শিল্প কারখানা আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। তহবিল থেকে অনুদান দিতে শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের কারখানা থাকলেও এর বাইরে অন্যান্য খাতে এর অভাব রয়েছে। ফলে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আলোচ্য চারটি খাতের পণ্য রফতানিতে প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আলোচ্য খাতগুলোর পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষম হয়ে উঠতে পারবে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

ওবায়দুল আজম আরও বলেন, পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি) কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্প এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে। বিশেষত পানি শোধন ব্যবস্থা, পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) স্থাপন, বিশেষায়িত ওয়্যারহাউজ, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামো বাস্তবায়ন হবে পিআইএফআইসি অধীনে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংক।

এছাড়াও কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এ অনুদান রফতানি সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূর করবে এবং উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বাড়াতে অবদান রাখবে।

বিজ্ঞাপন

সভায় ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক-১ মো. আবু ছাঈদ জোয়ারদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক-৩ শেখ মো. আব্দুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. লুৎফর রহমান, পিআইএফআইসি কর্মসূচির টিম লিডার সবুজ এ ইকবালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন