ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড পুরস্কার পেলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ই-কমার্সে বিশেষ অবদান রাখায় এবার ৭ম ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০-এ সেরা পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) ২০২০ বাংলাদেশ ফ্লিম আর্কাইভ মাল্টিপারপাস হল রুমে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই সম্মাননা ও পুরস্কার গ্রহণ করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আব্দুল লতিফ বকসীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব, এন এম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক জনাব পার্থ প্রতিম দেব এবং বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।

চলমান বিশ্বপরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ৩ দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উৎসব এর ৭ম আসর ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০’ অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ই-কমার্সে দক্ষ জনবল বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ই-বাণিজ্য করব নিজের ব্যবসা গড়ব’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ই-কমার্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ই-কমার্সে দক্ষ জনবল আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখবে।ডিজিটাল কমার্সকে শক্তিশালী করার জন্য তৈরিকৃত ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০১৮’ এর আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ই-কমার্সের গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সাধারণ মানুষের কাছে ওষুধ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে ই-কমার্স। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ উদ্যোগে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এ বছর আম মৌসুমে অনলাইন আম মেলার আয়োজন করা হয়েছিল এবং এই কর্মসূচি বহুল প্রশংসিত হয়েছিল। বর্তমানে ই-কমার্সের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণের মধ্যে ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম সফলভাবে চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম