বিজ্ঞাপন

ভাস্কর্য ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কওমি আলেমদের বৈঠক

December 14, 2020 | 11:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশব্যাপী চলমান অস্থিরতা নিরসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর শীর্ষ আলেমরা। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেষ হয় বৈঠক। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কিছু জানা যায়নি। বৈঠকে উপস্থিত আলেমরাও কিছু বলেননি।

কওমি মাদরাসার সম্মিলিত শিক্ষা বোর্ড হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে শীর্ষ আলেমরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন— আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন গওহরপুরী ও মাওলানা নূর আহমদ কাসেম।

এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় শীর্ষ আলেমরা এক বৈঠক করেন। ওই বৈঠক থেকে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয় সরকারের কাছে। ভাস্কর্য নয়, আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত মুজিব মিনার তৈরির প্রস্তাব দেন তারা। ওই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত হয়, ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন কওমি আলেমরা।

বিজ্ঞাপন

সরকার রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলে বেশকিছু ইসলামি দল এর বিরোধিতা করে। পূজার উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা না হলেও ভাস্কর্যকে ‘সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্ট হারাম’ বলে ফতোয়া দেওয়া হয় দেশের শীর্ষ ওলামা মাশায়েখদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে।

তবে বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট এক সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, মূর্তি ও ভাস্কর্য শব্দের অর্থকে ভুল ব্যখ্যা করে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে ‘হাক্কানি আলেম সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভাস্কর্যকে মূর্তি আখ্যা দেওয়া ঠিক নয়। মূর্তি উপাসনার জন্য। আর ভাস্কর্য হলো- শিল্প, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অংশ। পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীমও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভাস্কর্য বা মূর্তির ব্যাপারে তারা কেবল কোরআন-হাদিসের আলোকে মতামত দিয়েছেন, মূর্তি ভাঙার নির্দেশ দেননি

ভাস্কর্য নিয়ে এমন বিরোধিতার মধ্যেই গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভেঙে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এরই মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জন মাদরাসা শিক্ষক, দু’জন মাদরাসা শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

ছবি: কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটি রাতের আঁধারে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল

সারাবাংলা/এজেড/জেআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন