December 11, 2017 | 12:34 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
পটুয়াখালীর বাউফলে এক নারীর পেটে গজ রেখে সেলাই করার ঘটনায় কথিত চিকিৎসক অর্জুন চক্রবর্তীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাউফলের নিরাময় হাসপাতালের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন কথিত ডাক্তার, নার্স, ডাক্তারের সহকারী এবং হাসপাতালের মালিক।
গত ৬ নভেম্বর ওই ডাক্তারের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে আদালতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে ডাক্তার নামধারী রাজন দাসের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হয়।
গত ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককেও হাজির হতে বলা হয়। সোমবার আদালত বলেন, এ ধরনের ঘটনা অমানবিক। বরদাশত করা যায় না। এটা হত্যার শামিল।
এ সময় ডাক্তারকে লক্ষ করে আদালত বলেন, আমাদের কি মানুষ মনে হয় না?
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২২ জুলাই ‘সাড়ে তিনমাস পর পেট থেকে বের হলো গজ!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন।
ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রোপচারের সাড়ে তিনমাস পর বরিশালে মাকসুদা বেগম (২৫) নামের এক নারীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। মাকসুদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
মাকসুদা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে অস্ত্রোপচার করে মাকসুদা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তখন তার পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক।
এজেডকে/এমএইচটি/একে