বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা খুলনার

December 18, 2020 | 8:47 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই বাজিমাত করা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের টপ অর্ডার ব্যর্থ হলো ফাইনালে এসে। মিডল অর্ডারও প্রয়োজন মেটাতে পারেনি। দুই মিলিয়ে ১৫৬ রানের টার্গেট পেয়েও শিরোপা জিততে পারেনি গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ফাইনালে চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা জিতেছে জেমকন খুলনা।

বিজ্ঞাপন

টি-টোয়েন্টিতে বড় ম্যাচ জিততে যে অভিজ্ঞতাই বেশি দরকার লাগে সেটা ভালোভাবেই বুঝাল খুলনা। চট্টগ্রাম ফাইনালে আগে দশ ম্যাচ খেলে আটটিতেই জিতেছিল। আর মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েসের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া খুলনা নয় ম্যাচে জিতেছিল পাঁচটিতে। তবে বড় ম্যাচে দুই বারের দেখায় চট্টগ্রামকে দুবারই হারাল খুলনা।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে রানের পাহাড় গড়ে চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল অভিজ্ঞতায় ভরপুর খুলনা। আজ চট্টগ্রামকে আরও একবার হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করল দলটি।

টুর্নামেন্টজুড়ে চট্টগ্রামের টপ অর্ডার এতোটাই ভালো খেলেছে যে মিডল অর্ডারকে সেভাবে পরীক্ষাতেই পড়তে হয়নি। লিটন দাস ও সৌম্য সরকার দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। কিন্তু ফাইনালে ব্যর্থ হলেন দুজনই। দুজনের আউট হওয়ার ধরনও যে কাউকেই হতাশ করবে। শুভাগত হোমের সোজা ডেলিভারিতে ‘আলসে’ ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে বোল্ড সৌম্য (১২)। লিটন দাসও সেট হয়ে আউট হয়েছেন আলসেমি করেই!

বিজ্ঞাপন

শহিদুল ইসলামের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়েছেন। তবে দেখে মনে হচ্ছিল ডাইভ দিলে রান আউট এড়াতে পারতে লিটন। ফাইনালের মতো ম্যাচে তার ওভাবে রান আউট হওয়াটা বড়ই দৃষ্টিকটু। তিনে নেমে ৭ রান করে রিভিউ নষ্ট করে ফিরেছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তাতে ১৫৫ রানের সংগ্রহকেই অনেক বড় মনে হচ্ছিল।

চট্টগ্রামের মিডল অর্ডার সেটা আর পেরুতে পারেনি। সিলেবাসের বাইরে থেকে সৈকত আলি অবশ্য দারুণ একটা ফিফটি করেছেন। তবে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে না পেরে এবং অন্যরা তাকে সঙ্গ দিতে না পারাতে হারতে হয়েছে চট্টগ্রামকে। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে থেমেছে চট্টগ্রামের ইনিংস। সৈকত ৪৫ বল খেলে ৪টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন। শাসছুর রহমান ২১ বলে ২৩ ও লিটন দাস ২৩ বলে ২৩ করেছেন। ১৪ বলে ১৯ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। খুলনার হয়ে ৩৩ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের কল্যাণে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে খুলনা। শুরুটা ভালো হয়েছিল না খুলনার। আগের ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলা অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলাম অমিকে আজ ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরান নাহিদুল ইসলাম। সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা ইমরুল কায়েসও (৮)। এরপর তরুণ জাকির হোসেনকে নিয়ে হাল ধরেছিলেন আরিফুল ইসলাম। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় জাকির ২০ বলে ২৫ রান করে ফিরলে এই জুটি ভেঙেছে। তারপর খুলনার হয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান দলটির অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

মূলত মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়েই দেড়শোর্ধ্ব স্কোর গড়তে পেরেছে খুলনা। ক্রিজে এসে শুরুতে উইকেট ধরে রেখে রয়েসয়ে খেলেছেন। অন্যপ্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিল বলে সেভাবে খেলতেই হতো খুলনা দলপতিকে। তবে শেষ দিকে ঠিকই আক্রমণাত্মক হয়ে দলের রান বাড়িয়েছেন।

সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের শেষ ওভার থেকে একাই তুলেছেন ১৭ রান। সব মিলিয়ে ৪৮ বল খেলে ৮ চার ২ ছয়ে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস এটা। এড়াছা আরিফুল হক ২১, শুভাগত হোম ১৫ রান করেছেন। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে এই ১৫৫ রান তুলেছে খুলনা।

চট্টগ্রামের হয়ে নাহিদুল ইসলাম ১৯ ও শরিফুল ইসলাম ৩৩ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান চার ওভারে ২৪ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন