বিজ্ঞাপন

‘সীমান্তে হত্যা বন্ধে বাংলাদেশকে সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে’

December 18, 2020 | 11:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সম্মেলনে সীমান্তে হত্যা নিয়ে আলোচনার প্রতিক্রিয়ায় হতাশা জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, তিস্তার পানি ও সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশকে আবারও সেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারত ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও আন্তর্জাতিক ফোরামে এই ইস্যুতে ভারত নিরব থেকেছে। তারা বাংলাদেশের পক্ষে পরিষ্কারভাবে অবস্থান নিতে পারেনি। বিষয়গুলো হতাশাজনক।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাইফুল হক এসব কথা বলেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, সীমান্তে যেন প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা না হয়, এ জন্য আবারও নরেন্দ্র মোদি নির্দেশ জারি করবেন বলে জানিয়েছেন।

সাইফুল হক বলেন, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত তিস্তার পানির ওপর বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে আশাব্যাঞ্জক কিছুই বলতে পারেনি। এই প্রশ্নে ভারত বাংলাদেশকে আবারও গভীরভাবে হতাশ করেছে এবং বাংলাদেশের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটিকে ঝুলিয়ে রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

সাইফুল হক ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন, সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধের ব্যাপারেও শীর্ষ বৈঠকে ভারতের কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা আদায় করা যায়নি। ১৬ ডিসেম্বরেও সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করছে। এসব সহিংস তৎপরতা সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় বহন করে না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সঙ্গে ঋণচুক্তির বাস্তবায়নের চিত্র নৈরাশাজানক। চুক্তি বাস্তবায়নে অবকাঠামোর ইট, বালু, সিমেন্ট ও শ্রমশক্তির বড় অংশ যদি ভারত থেকে আমদানি করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের জন্য এসব চুক্তির উপযোগিতা কী? তিনি সমগ্র ঋণচুক্তির পর্যালোচনার দাবি করেন।

বিবৃতিতে ন্যায্যতা, সমমর্যাদা, পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতি ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানের আহ্বান জানান সাইফুল হক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন