বিজ্ঞাপন

ঢাকায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী: বাণিজ্য বাড়াতে চায় ঢাকা

December 22, 2020 | 10:28 pm

এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আংকারার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় ঢাকা। এজন্য তুরস্ককে যৌথ বাণিজ্য কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে দেশটির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক (ফরেন অফিস কনসালটেশন) করতে চায় ঢাকা। বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান। আগামীকাল বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ক্যাভুসলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা আসেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসল

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো বুধবার সকালে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এরপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো। দুপুর ১২টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। এরপর বিকেলে বাংলাদেশে তুরস্ক দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধনের কর্মসূচি রয়েছে তার সফরসূচিতে।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আগ্রহী। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে তুরস্কের শক্তিশালী অংশগ্রহণ চায় বাংলাদেশ। এজন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক এবং যৌথ বাণিজ্য কমিশন গঠন করার প্রস্তাব দেবে ঢাকা। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশটির সমর্থন পেতে চায় ঢাকা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় বাংলাদেশ। ঢাকা চায় যে আংকারার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করুক।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসল

বাংলাদেশের নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান সারাবাংলাকে বলেন, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে প্রাধান্য দেবো। দুই দেশই অর্থনৈতিক উন্নতি করছে, যা দুই দেশকে আরও ঘনিষ্ঠ হতে একাধিক সুযোগ তৈরি করবে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও কিভাবে ঘনিষ্ঠ করা যায়, সে জন্য বাংলাদেশের সচিবালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ চলছে। আমি এরই মধ্যে হাইটেক পার্ক, বিডা ও বেজা কর্তৃপক্ষ, এফবিসিসিআই ও বিজিএমএই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের পদক্ষেপ আমাকে মুগ্ধ করেছে।

রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান আরও বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, পর্যটন, জ্বালানি, ইন্টারনেট টেকনোলজিসহ একাধিক খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আলাপ-আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এখান থেকে আমরা উভয় রাষ্ট্রই লাভবান হতে পারি। এ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি। এই অঞ্চলগুলো একেকটা একটা জায়গাতে এবং একেটা বিশেষ বিশেষ অঞ্চল, তাই আমরা এখানে বিনিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি যে আমাদের জন্য কোন জায়গা ভালো হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন