December 23, 2020 | 9:41 pm
মৌলী আজাদ
ফেসবুককে খুব বেশি সিরিয়াসলি আমি নেই না ,তাই কাউকে আনফ্রেন্ড বা ব্লকের চিন্তা আমার নেই। অন্যদিকে কেউ আমাকে বন্ধুতালিকা থেকে বাদ দিলেও তেমন যায় আসে না। অতিসম্প্রতি আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড দেখলাম আমাকে আনফ্রেন্ড করেছেন। তিনি বুয়েটের একসময়ের মেধাবী ছাত্র, প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও অনেক পরিচিত একজন। ফেসবুকে তার ওয়ালে আমি বেশ এ্যাকটিভই থাকতাম এবং আমার ওয়ালেও তিনি তাই থাকতেন। হঠাৎ তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। দেখলাম আমাকে আনফ্রেন্ড করেছেন। মনে মনে চিন্তা করছিলাম— কেন?
ইতিমধ্যে ম্যাসেঞ্জারে একটি এসএমএস পেলাম । তিনি লিখেছেন—তিনি আমাকে আনফ্রেন্ড করার জন্য খুবই দুঃখিত।
জানতে চাইলাম— আমার কোনো লেখা কি আনফ্রেন্ড হওয়ার কারণ ?
তিনি বললেন— প্রশ্নই আসে না, কিন্তু কারণটা জানাতে তার ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে।
আবার অনুরোধ করলাম ।
তিনি বললেন– আসলে, আসলে… গত ছয় মাস ধরে তার ব্লাড প্রেশার বেড়েই চলছে । ওষুধে কাজ হচ্ছে না এবং উনি ভেবে দেখেছেন যতবার আমার ছবি উনি দেখেন ততবারই উনার প্রেশার হাই হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে…।
প্রথমে উনি আমার ফেসবুকে না থাকায় বেশ খারাপই লাগছিল, পরে কারণটা জানার পর মনে হলো— এত দুর্বল পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে লাভ কী?
আনফ্রেন্ড হয়ে যাওয়াই ভালো। আনফ্রেন্ড করার নতুন একটা কারণ পেলাম। মন্দ কী।
সারাবাংলা/এসবিডিই/আইই